বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুনমুন সেন (Moonmoon Sen), নামটা শুনলেই প্রথমে কী মাথায় আসে? স্লিভলেস ব্লাউজ, পাতলা শাড়ি, খোলা চুল আর অত্যন্ত স্টাইলিশ অ্যাকসেন্টে বলা বাংলা। এই ‘স্টেটমেন্ট’গুলিই তাঁকে ‘মুনমুন সেন’ (Moonmoon Sen) করে তুলেছে। আরে বাবা, স্বয়ং মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের একমাত্র মেয়ে বলে কথা! টলি ইন্ডাস্ট্রিতে মুনমুনের ঠাঁটবাটই ছিল আলাদা। যে সময়ে স্টারকিড শব্দটির সঙ্গে সেই অর্থে মানুষ পরিচিত হয়ে ওঠেনি, তখন থেকেই টলিউডে কাজ শুরু করেছিলেন মুনমুন (Moonmoon Sen)।
টলিপাড়ার তারকা সন্তান মুনমুন (Moonmoon Sen)
তারকা সন্তানদের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশের এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, তারকা সন্তান হওয়ার দৌলতে ইন্ডাস্ট্রিতে সবসময় বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছেলেমেয়েরা। ‘বহিরাগত’দের তুলনায় স্টারকিডদের প্রথম ব্রেকও সহজে মেলে। তবে অনেকে আবার বলেন, প্রথম সুযোগটা সহজে পেয়ে গেলেও প্রতিভা যদি না থাকে তবে যত বড় সুপারস্টারই হোক না কেন, তাঁদের সন্তান হয়ে কোনো সুবিধাই পাওয়া যায় না।
আরো পড়ুন : কারোর ১৩ বছর তো কারোর ২০! বয়সের বিপুল ফারাক নিয়ে এই জুটিরা বলছেন, ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’!
নিজের যোগ্যতা দিয়ে জায়গা পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে
মুনমুন সেনও (Moonmoon Sen) ব্যতিক্রম নন। সুচিত্রা সেনের মেয়ে হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে একটা আলাদা সম্ভ্রম তিনি পেয়েছেন ঠিকই, তবে নিজের যোগ্যতায় নাম করতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হয়েছেন মুনমুন (Moonmoon Sen)। ছবি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
আরো পড়ুন : মুখের একদিক প্যারালাইজড! ভুল সার্জারিতে ঘটে গেল চরম বিপর্যয়! সোশ্যাল মিডিয়ায় কী বললেন আলিয়া?
সিনেমা থেকে বের করে দেওয়া হয় মুনমুনকে
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মহানায়িকার মেয়ে হয়েও ছবি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল মুনমুনকে (Moonmoon Sen)। কেন? কী এমন দোষ ছিল তাঁর? পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের এক টক শোতে এসে সেই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আসলে নিজেকে একটু ‘পিটপিটে’ বলে স্বীকার করে নেন মুনমুন (Moonmoon Sen)। সেবার মুম্বই থেকে ফিরেই সটান শুটিং ফ্লোরে দৌড়াতে হয়েছিল তাঁকে।
ফ্লোরে গিয়ে পরিচালককে মুনমুন অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে যেন পরার জন্য একটা শাড়ি আর ব্লাউজ দেওয়া হয়। তাঁর পোশাক শিল্পী শাড়ি ধুয়ে রেখে দেবেন। ব্যস! তাঁর এই কথা শুনেই ক্ষেপে লাল পরিচালক। মুনমুন অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁর ওই একটি দোষেই তিন তিনটি ছবি থেকে বের করে দিয়েছিলেন পরিচালক। মহানায়িকার মেয়ে বলেও রেহাই পাননি মুনমুন!