বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি দিনকে দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মণিপুরে (Manipur)। সম্প্রতি ৬ জনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে অশান্তি বেড়েছে আরো। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে প্রচার কর্মসূচি বাতিল করে মণিপুর (Manipur) নিয়ে বৈঠকের পর সেখানে আরো ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আরো জওয়ান পাঠানো হচ্ছে মণিপুরে (Manipur)
জানা যাচ্ছে, প্রতি কোম্পানিতে সদস্য সংখ্যা ১০০ জন। সেই হিসেবে ৫০ কোম্পানিতে মোট ৫০০০ জওয়ান পাঠানো হচ্ছে মণিপুরে (Manipur)। উল্লেখ্য, ওই রাজ্যে আগে থেকেই মণিপুর পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এও জানা যাচ্ছে, এরপরেও রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি দল পাঠানো হতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক অমিত শাহের: সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সঙ্গে সঙ্গে এদিনই মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার মণিপুর (Manipur) পুলিশের থেকে নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। যদিও কোন তিনটি মামলার তদন্ত ভার বদল হয়েছে তা জানা যায়নি।
আরো পড়ুন : হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন! ৭ শিশুকে উদ্ধার করলেন ব্যক্তি, পুড়ে মৃত নিজের যমজ সন্তান
অশান্তি বাড়ছে মণিপুরে: উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই মণিপুরে (Manipur) মেইতেই এবং কুকি দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের কারণে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। সম্প্রতি জিরিবাম জেলায় কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালাচালি হয়। তাতে নিহত হয় ১০ জন। আবার এই সময়ই একটি মেইতেই পরিবার থেকে ৬ জনের অপহরণ হলে অভিযোগের আঙুল ওঠে কুকি জঙ্গিদের দিকে।
আরো পড়ুন : জানুয়ারিতে ভারতে পরপর উৎসব, নাইজেরিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দেরকে আমন্ত্রণ জানালেন স্বয়ং মোদী
পরে জিরি নদীতে ৬ জনের দেহ পাওয়া গেলে মেইতেইরা দাবি করে, ওই ছয়টি দেহ অপহৃতদের। এরপর থেকেই অশান্তি চরমে উঠেছে। আগুন লাগানো হয়েছে মন্ত্রী বিধায়কদের বাড়িতেও। এদিকে এই ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপি এবং শরিক দলগুলির বিধায়কদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একটি বৈঠক ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।