বাংলাহান্ট ডেস্ক : মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠছে আরো। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্তির আগুন ক্রমে মাত্রা ছাড়াচ্ছে। কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকের পর এই রাজ্যে ৫০ কোম্পানি সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবার আরো ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মণিপুরে (Manipur)। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জওয়ান আরো মোতায়েন হতে চলেছে এই রাজ্যে।
আরো ৯০ কোম্পানি সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত মণিপুরে (Manipur)
গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে আফস্পা লাগু করা হয়েছে মণিপুরে। গত ১৮ ই নভেম্বর ৫০ কোম্পানি অর্থাৎ মোট ৫০০০ জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মণিপুরে (Manipur)। এবার আরো ৯০ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলা জানান মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং। এই আধাসেনাদের মধ্যে থাকছে সিআরপিএফ জওয়ান, সেনা, বিএসএফ, অসম রাইফেলস, আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমাবল। স্থানীয় মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়াই হবে এই আধাসেনার লক্ষ্য।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া কেন্দ্র: আরো জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি জেলায় আলাদা আলাদা কন্ট্রোল রুম এবং কোঅর্ডিনেশন সেল খোলা হচ্ছে। মণিপুরে (Manipur) অশান্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। লুঠ করা প্রায় ৩০০০ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এখনো পর্যন্ত। মায়ানমার সীমান্ত ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাবে সেনা। নতুন করে কোনো হিংসার ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে কড়া নজর থাকবে নিরাপত্তা বাহিনীর। উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মণিপুরে (Manipur)।
আরো পড়ুন : গায়ের রঙের জন্য শুনতে হয় ‘কালি বিল্লি’ কটাক্ষ, বিপাশাকে চড় মারতেও ছাড়েননি করিনা! কারণটা জানেন?
নতুন করে বেড়েছে অশান্তি: গত বছর থেকেই আপাত শান্ত এই রাজ্য অশান্ত হয়ে উঠেছে। দুই সম্প্রদায়ের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে (Manipur) এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০। মাঝে অশান্তি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও গত ৭ ই নভেম্বর থেকে ফের মাথাচারা দিয়ে উঠেছে অশান্তির আগুন। জিরিবাম জেলা প্রথম থেকে তুলনামূলক শান্ত থাকলেও এবার ওই জেলাতেই প্রভাব পড়ে সবথেকে বেশি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ১০ জঙ্গির। অন্যদিকে ৬ জন মেইতেই গ্রামবাসী অপহৃত হন। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া নিয়েই চরমে ওঠে সংঘর্ষ।
আরো পড়ুন : অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে মুম্বইতে! ‘এই বাঙালির বাচ্চা…’ মঞ্চে উঠে বোমা ফাটালেন কুমার শানু
এর মাঝে আবার রবিবার বাবুপাড়ায় মেইতেইদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে মৃত্যু হয় এক যুবকের। এতেই কার্যত আগুনে ঘি পড়ে। হামলা চালানো হয় স্থানীয় কংগ্রেস এবং বিজেপির পার্টি অফিসে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতেই আরো বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।