বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রুপ ডি-র পর গ্রুপ সি! ফের তৈরী হচ্ছে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা! নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এবার জোর বিপাকে গ্রুপ সি কর্মীরা (Group C)। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসির ওয়েবসাইটে সি বিভাগের ৩১১৫ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তাতে মাত্র ৩৬২ জনের ওএমআর শিট বাদে বাকি সকল কর্মীদের ওয়েবসাইটেই গরমিল রয়েছে বলে কার্যত স্বীকার করে নিল কমিশন।
সূত্রের খবর, যেসকল কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের কারও কারও নম্বর বাড়ানো হয়েছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অদ্ভুতভাবে ওএমআর শিটে নম্বর বেশি দেওয়া থাকলেও সার্ভারে কম নম্বর দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ, সব ক্ষেত্রেই নম্বরের কারচুপির হয়েছে।
এই বিষয়টি মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল কমিশন। তারপর কমিশনকে তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কড়া নির্দেশ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করার সময়সীমাও বেঁধে দেন বিচারপতি। ৯ মার্চের মধ্যে কমিশনকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেন তিনি।
যেমনি কথা, তেমনি কাজ। আদালতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ সন্ধ্যাবেলাই তড়িঘড়ি সেই তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাতে দেখা গিয়েছে, যে ৩ হাজার ৪৭৭ জনের ওএমআর শিট কমিশন পরীক্ষা করে দেখেছে তার মধ্যে মাত্র কিছুজন বাদ দিয়ে বাকি ৩ হাজার ১১৫ জন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্রেই গরমিল মিলেছে বলে দাবি কমিশনের।
শুধুমাত্র ৩৬২ জনের ওএমআর শিটে কোনও কারচুপি হয়নি বলে দাবি কমিশনের। বৃহস্পতিবার এই তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল সর্বত্র। তবে উত্তরপত্রে কারচুপি এই প্রথম নয়, এর আগেও গ্রুপ ডি বা নবম-দশমের ক্ষেত্রেও ওএমআর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সকল গ্ৰুপ সি কর্মীদের চাকরিও সরু সুতোর উপর ঝুলছে বলেই মনে করা হচ্ছে।