বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিহারের বক্সর জেলার গঙ্গা নদীতে ৪০-র বেশি লাশ দেখে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে মিডিয়া সেখানে পৌঁছানোর পর প্রশাসনকেও ঘটনার খবর দেওয়া হয়। সেখানকার পরিস্থিতি বিচলিত করার মতো ছিল।
এক সরকারি আধিকারিক জানান, গঙ্গা নদীতে ৩০ থেকে ৪০টি লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, এই লাশগুলো উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেসে এসেছিল। স্থানীয় শ্মশান থেকে জানা যায় যে, ওই লাশগুলো সেখানকার ছিল না। বক্সরের জেলা শাসক অমন সমীর বলেন, আমরা উত্তর প্রদেশের গাজীপুর আর বালিয়া প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশগুলোর সৎকার করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বক্সরে ভেসে আশা লাশগুলোকে সম্মানের সঙ্গে সৎকার করা হবে।
জানিয়ে দিই, বিহারের বক্সর জেলা উত্তর প্রদেশের সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। এই জেলার উপর দিয়ে গঙ্গা নদী বয়ে চলেছে। বক্সরের উত্তরে বালিয়া আর পশ্চিমে গাজীপুর জেলা রয়েছে।
বক্সর জেলার কথা বললে, সেখানে করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য করতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বেসরকারি হাসপাতালে ডাকাতি চলছে। মানুষের কাছে এখন আর এত পয়সা নেই যে তাঁরা শ্মাশানে নিয়ে গয়ে সমস্ত নিয়ম পালন করে শেষকৃত্য করবে। অ্যাম্বুলেন্স অথবা শববাহী গাড়িও মোটা তাঁকে নেয়। আর সেই কারণে মানুষ হয়ত বাধ্য হয়েও এভাবে গঙ্গায় তাঁদের পরিজনদের দেহ ভাসিয়ে দিচ্ছে।
আরেকদিকে, বক্সরের চরিত্রবন ঘাটের পৌরাণিক মহত্বও রয়েছে। এখন সেখানে করোনার কারণে শ্মশানে জায়গা মিলছে না। আর এই কারণে অনেকেই সেখান থেকে আট কিমি দূরে চৌসা শ্মশানে চলে যাচ্ছে। সেখানে কাঠের বন্দোবস্ত নেই। নৌকাও বন্ধ আছে। আর এই কারণেই হয়ত লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে। নৌকা চালু থাকলে মাঝ গঙ্গায় দেহ নিয়ে গিয়ে ঘড়া বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়ার পরম্পরা আছে সেখানে। কিন্তু এখন সেই উপায়ও বন্ধ।