বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২১ শের নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) ভাঙ্গনের খেলা অব্যহত। একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে দুই দলই। নিজেদের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মত্ত রাজনৈতিক শিবির। এরই মাঝে বড়সড় ভাঙ্গন ধরল বাংলার গেরুয়া শিবিরে।
নির্বাচনের পূর্বে করোনা আবহের মধ্যেও বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলায় ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মেতেছে রাজনৈতিক শিবির। কখনও তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে বিরাট সংখ্যক মানুষজন, আবার কখনও বিজেপি ছেড়ে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরে। নতুন দলে যোগ দিয়ে নতুন সদ্যসরা হাতে তুলে নিচ্ছেন দলীয় পতাকা।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে রবিবার বিকেলেই দেখা গেল এক বিরাট পরিবর্তন। বিজেপির প্রতি সবরকম ভরসা হারিয়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন পাঁচশোরও বেশি কর্মীবৃন্দ। মহিলা সদস্য থেকে পুরুষ সদস্য, সকলেই নতুন দলে যোগ দিয়ে হাতে তুলে নিলেন দলীয় পতাকা।
উচ্ছ্বসিত মন্ত্রী অরূপ রায়
অন্য দল ত্যাগ করে সবুজ শিবিরে যোগ দেওয়া সেই সকল নতুন সদস্যদের দলে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিলেন তৃণমূলের জেলা সদর চেয়ারম্যান মন্ত্রী অরূপ রায়। সেইসঙ্গে জানালেন, ‘এরা সকলেই পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা। তৃণমূলের নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা মেনে দল করবেন বলে জানিয়েছেন তারা সকলেই। গত নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী তারা বেগমের হাত ধরেই আজ এই বিরাট সংখ্যক মানুষ তৃণমূলে যোগদান করলেন’।
বিজেপিকে আক্রমণ
অন্যদিকে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখানো বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য আবারও তৃণমুলে ফিরে আসায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি পোস্টকে ঘিরে রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা তুঙ্গে। এই বিষয়ে বেশ কিছুটা চাপে রয়েছে বিজেপি বাহিনী। দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথায়, ‘১টা বিধায়কের কথা বলেছিলাম, সেটা হয়ে গেছে। এরপর নতুন আপডেট পাইপলাইনে আরও ২ রয়েছে। তবে ওই ৪ এখনও সেখানেই আছে। আর সঙ্গে রয়েছে একটা নতুন বটগাছও’।