বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট পূর্বে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভা কেন্দ্রে ৫০০ টি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগদান করল। সূত্রের খবর এমনটাই। একদিকে যেখানে রাজ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেখানে এত বড় সংখ্যা যে শাসকদলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়াল তা বোঝার অবকাশ রাখে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে কাঁথির রামনগরের (Ramnagar) একটি এলাকায় বিজেপির কিষান মোর্চার সভা ছিল। সেই সভাতেই স্থানীয় দাপুটে তৃণমূল নেতা মনোজিৎ মান্না সহ তার মধ্যস্থতায় সেখানের প্রায় ৫০০ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখায়। নেতা ও সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে তাদের বিজেপিতে বরণ করে নেন বিজেপির কাথি সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মৌমিতা দাস। উচ্ছাসে ফেটে পড়েন কর্মী সমর্থকেরা।
ভোট পূর্বে দল ছাড়ার হিড়িক দেখে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে নেমেছে শাসক, বিরোধী। এদিন বিজেপিতে যোগদান করে মনোজিৎ মান্না বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমি কলেজে রাজনীতি করতাম। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। এই মামলা এখনও চলছে। তৃণমূল করা সত্ত্বেও স্থানীয় বিধায়কের অত্যাচার ও স্বজন পোষণ বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। আজ একাধিক মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেবো, শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা কর্মী-সমর্থকদের দলে আহ্বান জানিয়ে জেলা সভানেত্রী মৌমিতা দাস বলেন, “এটা খুবই খুশির খবর। অনেক ভাইদের রক্ত ঝরেছে। অনেক মায়েদের সম্মানহানি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যাতে পদ্ম ফোটাতে পারি সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানে বাড়তি অক্সিজেন পেলাম। শাসকের রক্তচক্ষুকে আর কেউ ভয় পায় না তা বোঝা যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, বিজেপির এই সমস্ত কথা কানে দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস একটি চলমান গাড়ি। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই চলমান গাড়ি থেকে নিচে নেমে গিয়ে ছিলেন। আবারও ফিরে এসেছেন।” সব মিলিয়ে একজোটে এত জনের দল বদলির এই ঘটনা যে শাসকদলকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলল এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।