বাংলাহান্ট ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে গায়ক কেকে-র (KK) মৃত্যু নিয়ে। কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আর বেঁচে ফেরা হয়নি ভারত বিখ্যাত শিল্পীর। ৩১ মে নজরুল মঞ্চে গুরুদাস মহাবিদ্যালয় কলেজের অনুষ্ঠানই কেরিয়ারের শেষ শো হয়ে রইল কেকের।
শিল্পীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের। খুনের অভিযোগ উঠছে শহর কলকাতা এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও। এর মধ্যেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য যা প্রশ্ন উসকে দিয়েছে, কেকের মৃত্যুর দায়টা কার?
আগেই জানা গিয়েছিল, নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি লোক হয়েছিল সেদিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তিল ধারণের জায়গা ছিল না। একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেও অত্যন্ত কষ্ট করে গান গেয়েছিলেন কেকে।
নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যা ২৫০০। অথচ সেদিন লোক হয়েছিল প্রায় ৭০০০। এদিকে ফেস্টের আয়োজককলেজের ইউনিয়ন টিএমসিপি ইউনিট দাবি করেছে, যত আসন সংখ্যা ততগুলোই পাস বিলি করেছিল তারা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু টিকিট এসে পড়েছে যা স্পষ্টতই অতিরিক্ত।
যেখানে অডিটোরিয়ামে আসন সংখ্যা ২৫০০, সেখানে একটি টিকিটের নম্বর ৪০২৩। এমনকি টিকিটে কলেজের স্ট্যাম্প পর্যন্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি তো করা হয়েছিলই, উপরন্তু সেদিন অনেক বহিরাগত পড়ুয়ারাও ঢুকে পড়েছিল শো তে। পাঁচিল টপকেও অনেকে ঢুকেছিল বলে খবর। যদিও অতিরিক্ত টিকিটের প্রমাণ দেখেও কোনো মন্তব্য করেনি কলেজ ইউনিয়ন।
অডিটোরিয়ামের সাতটি দরজার মধ্যে পাঁচটি দরজা খোলা ছিল। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ জনতার ভিড় সামলানো যায়নি। এসি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঘেমেনেয়ে পারফর্ম করে হোটেলে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে শেষ।
কেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? অভিযোগ পালটা অভিযোগের মধ্যেই বিষয়টা খতিয়ে দেখছে কেএমডিএ। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে কলেজ ফেস্টগুলিতে নজরদারি চালানো হবে। আগেভাগে সমস্ত তথ্য জানাতে হবে লালবাজারকেও।