বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার কারনে ইতিমধ্যে স্তব্ধ গোটা দেশ। যার জেরে থমকে গেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশের একটা বিশাল অংশের জনতার মাথায় বেকারত্বের কালো ছায়া ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক পেশার মানুষ। কিন্তু সেই তালিকায় যদি যুক্ত হন শিক্ষকরা তাহলে লজ্জায় মাথা হেট হয়েই যায়। সেই ঘটনাই ঘটেছে উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায়। দেশ ব্যাপী লকডাউন চলাকালীন হাতে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা ধরিয়ে বরখাস্ত করা হল চাকরি থেকে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে এই ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয় রাজ্যের স্কুল গুলিতে৷ নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা৷ যার জেরে এবার চাকরি হারাতে বসেছেন ঐ শিক্ষকরা। এর পরে তাদের কি পেশা হবে, কি করেই বা খাদ্য বস্ত্রের সংস্থান করবেন তা ভেবে পাচ্ছে না শিক্ষকরা।
বাম আমলে এই শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখার ব্যাপারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। অনেক শিক্ষকই বিজেপির সেই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে রাজ্যের বাম দূর্গ ভাঙতে সক্রিয় হয়েছিলেন। লকডাউনের সংকটে তাঁদের চাকরিতে না রাখার কথা টুইট করে যেভাবে ঘোষনা করে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাতে প্রশ্ন উঠছে তা হলে কি প্রতিশ্রুতি ছিল স্রেফ ভোটের জনমোহিনী প্রচারের অংগ!
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল অবশ্য বলছেন, এই বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের চাকরীতে বহাল রাখার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয় নি, কোর্টের নির্দেশ পালন করতে তারা বাধ্য। পাশাপাশি, এই বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের যাতে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ করা যায় কি না সে ব্যাপারে ভেবে দেখছে সরকার।