কিছুটা নিস্প্রভ মদ্রিচ, দুর্দান্ত লড়াই করে ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্স আপদের রুখে দিলো মরক্কো

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ গ্রুপ এফ-এর প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া বনাম মরক্কো ম্যাচ গোলশুন্য অবস্থায় শেষ হলো। এই এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ যা ৯০ মিনিটের শেষে রইলো অমীমাংসিত। গত বিশ্বকাপের রানার্স ক্রোয়েশিয়া গোটা ম্যাচে বলের দখল প্রায় ৭০ শতাংশ নিজেদের কাছে রেখেছে। পেরিসিচ,মদ্রিচ, কোভাকিচ সমৃদ্ধ ক্রোয়েশিয়া অনেক চেষ্টা করেও ভেদ করতে পারেনি মরক্কোর ডিফেন্স। ফলে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দুই দলকেই ১টি করে পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

বুধবার বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার ওপর প্রত্যাশার চাপ ছিল। জলাটকো ডালিচের ছেলেরা চার বছর আগে যে ফুটবলটা খেলেছিল আজ আল বায়ত স্টেডিয়ামে তার চেয়ে বিশাল খারাপ খেলেছে এমন নয়। তারা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু গত বিশ্বকাপে মারিও মাঞ্জুকিচের মতো একজন স্ট্রাইকার তাদের দলে ছিল যার অভাব এইবছর মদ্রিচরা অনুভব করছেন।

আজ স্টেডিয়ামে দর্শকদের বিচারে মরক্কো ক্রোয়েশিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। তাদের দর্শক সংখ্যা এত বেশি ছিল যে মনে হচ্ছিল তারা নিজেদের দেশের মাটিতেই খেলছেন। কিন্তু মরক্কোর সমর্থকদের গগন ভেদী সাপোর্টার যোগ্য মর্যাদা আফ্রিকার দলটিও যে দিতে পেরেছে এমনটা বলা যাবে না।

ম্যাচের পর অবশ্য প্রশংসা করতেই হয় দুই গোলরক্ষকের। মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বনো প্রথমার্ধে দলকে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে অন্তত দুবার বাঁচিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধেও দলের প্রয়োজনে রুখে দাঁড়িয়েছেন। উল্টোদিকে মরক্কোর হয়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলছিলেন তাদের পিএসজির হয়ে খেলা সাইড ব্যাক আশরাফ হাকিমি। মাঠের ডান প্রান্ত দিয়ে তিনি যে আক্রমণ গুলি তুলে তুলেছিলেন তার রীতিমতো দেখার মত ছিল। একবার দূরপাল্লার শটে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের পরীক্ষাও নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন লিভাকোভিচ।

গতবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল যে তার লুকা মদ্রিচ আজ অত্যন্ত পরিশ্রম করে খেলেছেন। ডিফেন্সিভ ভূমিকায় তিনি আজও অনবদ্য ছিলেন। এই বয়সেও যিনি যেভাবে ক্লান্তিহীনভাবে বক্স টু বক্স পরিশ্রম করে যান তা যে কোনও ফুটবলারের কাছে শিক্ষণীয়। কিন্তু আজ ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেননি তিনি।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর