বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সম্মেলন। সেখান থেকেই কি সাংগঠনিক রদবলের ঘোষণা করা হবে? ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে সেই জল্পনা। এবার তা নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর।
ছাব্বিশের ভোটের আগে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা?
গত ১০ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বৈঠকে নিজেদের বিধানসভা অঞ্চলে যারা রদবদল চান, সেই সকল বিধায়কদের ৩ জনের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ১৫ দিন। গতকালই সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
তৃণমূল (Trinamool Congress) সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলীয় বিধায়কদের একটি বৃহৎ অংশের তরফ থেকে নাম জমা দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ রদবদল করার প্রস্তাবে সেই বিধায়কদের সায় নেই। মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বিধায়ক রদবদল চান বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়াল অভিষেকের নাম! ‘কাকু’র অডিওতেই ফাঁস সব? তোলপাড় বাংলা
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যাদের বদলের দরকার নেই, স্বভাবতই তাঁরা চিঠি দেবেন না। আমরা এটা জানতে পেরেছি। যেমন, আমার অঞ্চলে মূল সংগঠন, শাখা সংগঠন, সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, যারা পদে রয়েছেন, তাঁরা ভালো কাজ করছেন। ফলে বদলের দরকার নেই, জমাও করিনি’।
আবার দলের অন্দরেই এই নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের একাংশই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন, যদি ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়, সেক্ষেত্রে ছাব্বিশের নির্বাচনে দলের মধ্যে থেকেও অন্তর্ঘাত করতে পারেন তিনি।
এই বিষয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিধায়করা জমা করেছেন নাকি করেননি, জমা করলে কেন করেছেন, না করলে কেন করেননি। এটা একেবারেই সাংগঠনিক অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা অত্যন্ত গণতান্ত্রিক, খোলা হাওয়া নিয়ে চলা দল… ভয়ের কোনও পরিবেশ নেই। ভয়ের কথা কোথা থেকে আসছে!’