বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী (Most Powerful Country in Asia 2021) ভারত (India) বা চীন (China) নয়, আমেরিকা (United State)। সিডনির লোই ইন্সটিটিউট ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২১”-এ আমেরিকাকে তালিকার শীর্ষে রেখেছে, এছাড়াও ভারত এই তালিকায় চতুর্থ স্থান হাসিল করেছে। করোনা মহামারী আর লকডাউনের কারণে এই বছর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন আর ভারত উভয়ই তুলনামূলক ভাবে শিথিল হয়েছে। রিপোর্টে আমেরিকা, চীন আর জাপানের পর ভারতকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ভারত ২০২০-র তুলনায় এবছর ২ পয়েন্ট কম পেয়েছে। আর চীন ১.৫ পয়েন্ট।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২১-এ আমেরিকা, জাপান আর চীনের পর চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হল ভারত। করোনার কারণে সবথেকে বেশি প্রভাবিত দেশের মধ্যে ভারতেরও নাম রয়েছে। আর ভারতের পরিস্থিতি এবং কোভিডের আগে উন্নয়নের স্তরের তুলনায় কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারে র্যাঙ্কিংয়ে ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এশিয়ার শীর্ষ দেশগুলোর কার্যকারিতা কমে গেলেও উন্নত কূটনীতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মর্যাদা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এই কারণেই তাঁরা এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ‘লোই ইনস্টিটিউট’ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারত তার নেতিবাচক পাওয়ার গ্যাপ স্কোরের কারণে এই সেক্টরে আগের তুলনায় কম প্রভাব ফেলছে। ইনস্টিটিউটের পাওয়ার গ্যাপ ইনডেক্সে ভারতের স্থান নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নিচে। তা সত্ত্বেও, ভারত ভবিষ্যতের সম্পদের পরিমাপের ক্ষেত্রে সেরা পারফর্ম করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে এ অঞ্চলে চীন, জাপান ও ভারতের মতো এশীয় শক্তির তুলনায় আমেরিকার প্রভাব বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালোভাবে পরিচালনা করেছেন, যার কারণে এশিয়ায় আমেরিকার শক্তি বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এশিয়ায় আমেরিকা তার শক্তি বাড়িয়েছে।
লোই ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এশিয়ার দ্বিতীয় জনবহুল দেশটি এখন মধ্যশক্তির তালিকায় চলে গেছে, তবে আগামী বছরগুলোতে এই দেশটি আবারও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ইন্দো-প্যাসিফিকের সমস্ত দেশের মধ্যে ভারত করোনা ভাইরাসের কারণে উন্নয়নের সম্ভাবনা হারিয়েছে। করোনা মহামারির কারণে তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই তালিকায় চীন ছাড়া ভারতের সব প্রতিবেশীই আগের মতোই রয়েছে। ১৪.৭ পয়েন্ট নিয়ে এই তালিকায় ১৫ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান, যেখানে বাংলাদেশ ৯.৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে রয়েছে। ২০ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৮.৬। একইভাবে ২১ নম্বরে থাকা মিয়ানমারের ৭.৪ পয়েন্ট এবং ২৫ নম্বরে থাকা নেপালের ৪.৫ পয়েন্ট রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘লোই ইনস্টিটিউট’ বিশ্বের প্রধান দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, সামরিক সক্ষমতা, অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, অন্যান্য দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব অধ্যয়ন করে প্রতি বছর এই তালিকা তৈরি করে।