বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের এক ভয়াবহ ঘটনায় লোম খাড়া হয়েছে সকলের। ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ভোপালের বেতুল জেলার বাসিন্দা বাবলি। শুধু তাই নয় এই ভয়াবহ অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল ২৯ বছর বয়সি মহিলার ৬ বছরের ছেলে। জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন আগে মারা গেছেন বাবলির স্বামী, তার মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মা ও বোন রোহিনী কে বাড়ির বাইরে চলে যেতে দেখে পিছু নেয়, ৬ বছরের রোহান। মা তার মেয়েকে সাথে নিয়ে গ্রামের বাইরে একটি কুয়োর সামনে হাজির হন এবং এর পরে মা ও বোনের ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনাটি চাক্ষুস দেখে রোহান। তার চোখের সামনে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরই, দিদার কাছে ছুটে এসে গোটা ঘটনাটি বলে রোহান। নাতির মুখে ঘটনার কথা শুনে, গ্রামবাসীদের একজোট করেন ওই বৃদ্ধা, তারপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করেন তিনি। এর পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে আসতেই ততক্ষণে পরলোক গমন করেছেন মা ও মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনমাস আগেই ওই মহিলার স্বামী মারা যায়। তারপর থেকেই বাবলি ছেলে ও মেয়েকে সঙ্গে করে নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসেন। অসুস্থ স্বামীর এই হঠাৎ মারা যাওয়া কোনদিনই মেনে নিতে পারেনি বাবলি, তারপর থেকেই দিনের পর দিন অবসাদে ভুগতেন তিনি। এই অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার কথা মাথায় আসে তার, এবং সেটি চরিতার্থ করেন তিনি। শুক্রবার সকাল ৭টার নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মৃতার মা জানিয়েছেন, গ্রামের কারোর সঙ্গেই মেয়ের ঝামেলা ছিল না। মেয়ে ও নাতনির মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত মা।