বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বউমার বিরুদ্ধে রান্নাঘর দখল করে রাখার অভিযোগ। প্রথমে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাশুড়ি। তাতে কোনও কাজ না দেওয়ায় সোজা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করলেন বৃদ্ধা। রান্নাঘর ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শাশুড়ি-বউমার দড়ি টানাটানির জেরে কার্যত বেহাল দশা বিচারপতির! শেষমেশ বড় নির্দেশ দিয়ে দেন জাস্টিস তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, কলকাতার চিৎপুরে থাকেন ওই বৃদ্ধা। পাশের বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকেন তাঁর ছেলে। মামলাকারীর অভিযোগ, ছেলে পরিবার নিয়ে অন্য বাড়িতে থাকলেও তাঁর বাড়ির রান্নাঘরটি (Kolkata) দখল করে রেখেছে বউমা। যে কারণে একই ঘরের মধ্যে রান্না করতে হচ্ছে তাঁকে। অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটছে তাঁর।
এই নিয়ে প্রথমে চিৎপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেখানে অভিযোগ জানালেও পুলিশ হস্তক্ষেপ করেননি। শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। এদিকে ওই বৃদ্ধার ছেলের দাবি, তাঁর মা নিজেই রান্নাঘর থেকে সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেই কারণে রান্নাঘর দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। সম্ভবত দিদিদের উস্কানিতে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে মা মামলা করেছেন বলে দাবি করেন বৃদ্ধার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ ৩৯ শতাংশ DA মেটাতেই হবে মুখ্যমন্ত্রীকে! বাজেটে বকেয়া না পেলে যা করতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা
জানা যাচ্ছে, রান্নাঘর দখল নিয়ে হওয়া এই মামলা দেখে আতান্তরে পড়েন বিচারপতি ঘোষ। প্রথমে এই মামলা প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট ফোরামে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গেই গৃহযুদ্ধ বন্ধ রাখতে চিৎপুর থানার পুলিশকে আদালতের নির্দেশ, একদিন অন্তর একজন মহিলা কনস্টেবলকে মামলাকারী বৃদ্ধার বাড়িতে পাঠাতে হবে।
রান্নাঘর দখল নিয়ে হওয়া এই মামলার বিষয়ে বিরক্ত বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, এবার কি তাহলে রান্নাঘরের দখল ঠিক করতে পুলিশকে ঢুকতে হবে? পুলিশের কি আর কোনও কাজ নেই? প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। জাস্টিস ঘোষ স্পষ্ট জানান, এটি একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এর মধ্যে পুলিশের নাক গলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।