বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত বছর মা দূর্গার (Ma Durga) নিরজ্জনের সাথে সাথে বাঙালী জানতে পেরেছিল, এবছর কিছুটা হলেও দেরীতে আসবে মা। কিছু নিয়ম বিধি নিষেধ রয়েছে, যার কারণে মহালয়ার প্রায় ১ মাস পর ছেলে মেয়েদের সাথে বাপের বাড়িতে সকলের ভালোবাসা পেতে মা আসবেন মর্তে। দেরিতে হলেও, মা তো আসবেন। এই আনন্দ নিয়েই শুরু হয়েছিল, মায়ের জন্য অপেক্ষা।
করোনা হানা
২০২০ সালের প্রথম থেকেই শোনা গেছিল চীনে এক মারণ রোগের প্রকাশ ঘটেছে, যা নাকি ছোঁয়াচে। হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, কিছুতেই তাঁকে কাবু করা যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে এই মারণ রোগ করোনা ভাইরাস মহামারির মত গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু এই সংকটের মধ্যে মা কি আসবেন?
বন্ধ রয়েছে সামাজিক মেলামেশা
লকডাউন চলছে প্রায় কয়েকমাস ধরে। সমগ্র বিশ্ব এক হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে এখন এই রোগের প্রতিষেধক খুঁজতে। এই রোগের কবলে পড়ে ভারত তথা বাংলার মানুষজনও আতঙ্কিত রয়েছে। লকডাউন পর্বে বন্ধ রয়েছে সামাজিক মেলামেশা, বিরত রাখা হয়েছে সমস্ত রকম উৎসব অনুষ্ঠান। দিকে দিকে চলছে স্যানেটাইজেশনের প্রক্রিয়া।
কেমন চলছে কুমারটুলির কাজ
কিন্তু এদিকে যে মা আসার সময় হয়ে গেছে। প্রতি বছর এই সময় থেকেই বেশ একটা সাজো সাজো রব উঠে যায় চারিদিকে। কুমারটুলিতে থাকে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা। দেশ বিদেশের ঠাকুর বানাতে হিমশিম খায় মৃত শিল্পীরা। সার্বজনীন পূজোর পাশাপাশি রয়েছে আবার বনেদি বাড়ির দূর্গোৎসবও।
সবকিছু মিলিয়ে পূজোর আগের এই কটা মাস কিছুটা ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে কূমারটুলি পাড়ার। কিন্তু এবারের মহামারির কারণে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে কুমারটুলির ব্যস্ততায়।
পূজো হবে এতেই খুশি উৎসব প্রিয় বাঙালী
তবে সকলকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্মতি দিলেন মায়ের আগমনী অনুষ্ঠানে। সমস্ত নিয়ম মেনেই প্রতিমা দর্শনে যেতে পারবে বাঙালিরা। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে প্রাণ ফিরে পেল কলকাতা। আবারও সেজে উঠবে আলোর রোশনাইয়ে, ভরে উঠবে ঢাকের আওয়াজে। তবে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম জারী করলেও, পূজো হবে এতেই খুশি উৎসব প্রিয় বাঙালী।