সন্তানকে বাঁচাতে বাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন মা! হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উমারিয়া (Umaria) জেলা থেকে। যেটি জানার পর শিউরে উঠবেন সকলেই। জানা গিয়েছে, সেখানে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে নিজের সন্তানকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছেন এক মহিলা। আর সেইজন্য তাঁকে লড়াই করতে হয় বাঘের সঙ্গেও। এমনকি, একটা সময়ে বাঘটি তাঁকেও আহত করে ছেড়েছিল। যদিও, তিনি দীর্ঘ ২৫ মিনিট যাবৎ লড়াই চালাতে থাকেন সেই হিংস্র প্রাণীর সাথে। আর এভাবেই তিনি বাঁচিয়ে নেন তাঁর সন্তানকে।

যদিও, বাঘের সাথে লড়াইয়ের সময়ে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। এমনকি, বাঘের নখেও আঘাত পান তিনি। যার ফলে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উমারিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জবলপুরে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অন্তর্গত রোহানিয়া গ্রামে।

জানা গিয়েছে, গত রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দেড় বছরের পুত্রসন্তান রাজবীরকে নিয়ে কোনো কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অর্চনা চৌধুরী নামের ওই মহিলা। এদিকে সেখানে ঝোপের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল একটি বাঘ। কাঠ এবং কাঁটাতারের প্রাচীর এড়িয়ে বাঘটি ভেতরে ঢুকে রাজবীরকে ধরে ফেলে। এমতাবস্থায়, সাক্ষাৎ বিপদের সময়েও মাথা ঠান্ডা রেখে সাহসিকতার সঙ্গে বাঘের সাথে মোকাবিলা করেন অর্চনা। আর সেই সময়েই বাঘটি তাঁর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিকে, অর্চনার চিৎকার করে গ্রামবাসীদের ডাকতে থাকেন। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে বাঘের সাথে লড়াই চলে তাঁর।

মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক: অর্চনার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। এরপর বাঘটি মা-ছেলেকে ফেলে বনে পালিয়ে যায়। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের দল অর্চনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। জানা গিয়েছে, বাঘের আক্রমণে অর্চনার ঘাড় ভেঙে গেছে।

WhatsApp Image 2022 09 05 at 6.58.32 PM

চমকে ওঠেন গ্রামবাসীরা: এদিকে, অর্চনার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তখন তাঁরা কার্যত চমকে যান। সেই সময়ে দু’জনকেই ধরে ফেলেছিল বাঘ। এরপর গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে বাঘটি জঙ্গলে চলে যায়। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অংশ হওয়ায় সেখানে প্রায়ই হিংস্র প্রাণী চলে আসে। এমনকি, ক্ষুধার্ত হলে তারা গবাদি পশুও শিকার করে নেয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর