বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগে বহু দলবদলের রাজনীতি দেখেছে রাজ্য। ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূলের নেতা, কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অনেকেই আবার বিজেপি থেকে পেয়েছেন নির্বাচনে লড়াই করার টিকিট। আবার তৃণমূল এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনও বলেছিলেন যে, দলের অন্দরেই অনেক গদ্দার লুকিয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন যে, তৃণমূল ২০০ আসন না পেলে সেই গদ্দাররা বিজেপিতে যোগ দেবে।
তবে তেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় নি তৃণমূলকে। একাই বিপুল সংখ্যাদরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সরকার গড়ার পরেই তৃণমূল নেত্রী সেই গদ্দারদেরই আবার দলে আসার আহ্বান করেছিলেন। আর এরই মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীর মায়ের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অন্দরে।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হার নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে দলের অন্দরে। আর এরমধ্যেই নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। এমনকি পঞ্চায়েত প্রধান বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিডিওকে চিঠি পাঠিয়েছে পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য।
ভাগ্যক্রমে নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বনশ্রী খাঁড়া আবার রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। আর এই নিয়ে এখন চাঞ্চল্য তৃণমূলের অন্দরে। যদিও বনশ্রীদেবী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভোটের মধ্যে বনশ্রীদেবী দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।