বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিজের লোকশিল্প, সংস্কৃতি এবং অনন্য খাবারের জন্য অতি পরিচিত মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখন্ড। শুধু এগুলোই না, এমনকি শুধু ভারতের (India) মাটিতেই নয়, বিদেশের মাটিতেও এক নামে প্রসিদ্ধ এই বুন্দেলখন্ড। জানেন কী সেই বস্তু? লাল, নীল, হলুদ সবুজ হরেক রঙের আবির ছাড়া হোলি অসম্পুর্ণ ! বিশেষ প্রক্রিয়া মেনে এই আবিরই তৈরি হয় বুন্দেলখন্ডে।
যে আবির দিয়ে সারা বিশ্ব হোলি খেলে তা পাইরো ফ্লাইট ডায়াস্পোর জাতীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। আর এই বিশেষ পাথরের পাহাড়ই রয়েছে বুন্দেলখন্ডের টিকামগড় জেলায় যা বিবেচিত হয় এশিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট পাইরো ফ্লাইটের খনি হিসেবে। শুধু টিকামগড়ই নয়, বুন্দেলখন্ডের ছতারপুর, ঝাঁসি, মহোবা এবং ললিতপুরেও রয়েছে এই পাথরের পাহাড়। তবে গুণমানের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো টিকমপুরের পাহাড়ই।
এই পাথর অত্যন্ত মিহি গুঁড়ো করে তারপর তাতে রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হয় আবির। খণিজটির বিশেষ গুনের জন্যই অন্যান্য কোনও কিছুর গুঁড়োর থেকে আবির অনেক বেশি আলদা অনুভূত হয়। বুন্দেলখন্ড থেকে তৈরি আবির পাঠানো হয় সারা বিশ্বে। তবে এই আবির সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হয় উত্তরপ্রদেশের হাতরাসে। তারপর সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের কোনে কোনে। শুধু ভারতই নয়, পাশাপাশি চীন, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বড় বাজার রয়েছে এই আবিরের।
তবে বর্তমানে এই খনিজ থেকে তৈরি রাসায়নিক রঙের বদল ভেষজ আবিরের ব্যবহার বাড়ছে। যা ত্বকের জন্য ভালো হওয়ার পাশাপাশি স্থিতিশীলও বটে। মূলত ফুল পাতা, হলুদ ইত্যাদির শুকিয়ে সেই গুঁড়ো আটা কিংবা ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েও আবির হিসেবে ব্যবহার করছেন অনেকে। এগুলি সত্যিই উপকারী বিকল্প হলেও বানানো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সেভাবে এখনও বাজারে ছেয়ে ফেলা যায়নি এই জিনিসগুলিকে।