বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চলা রাজইতিক উথালপাথালের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরুতে থাকা কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কেরা মিডিয়ার সাথে কথা বলেন। ওনারা বলেন, তাঁরা কমলনাথ (Kamal Nath) সরকারের কাজে খুশি না। ওনারা জানান যে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াই (Jyotiraditya Scindia) আমাদের নেতা। আমরা ভোপালে ফেরার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু তাঁর আগে আমাদের কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী চাই। আরেকদিকে, বিজেপিতে (BJP) যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে ওনারা বলেন আমরা এখনো এটা ভেবে দেখছি। ওনারা বলেন, বিজেপি আমাদের বন্দি করে এখানে আনেনি। আমরা নিজের ইচ্ছেয় এখানে এসেছি।
Rebel Congress MLA Imarti Devi, in Bengaluru: Jyotiraditya Scindia is our leader. He taught us a lot. I'll always stay with him even if I had to jump in a well https://t.co/U6Pe7GjhVM pic.twitter.com/ggjtCOFcA8
— ANI (@ANI) March 17, 2020
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে মধ্যপ্রদেশ ছেড়েছি। আমাদের কেউ বন্দি বানায় নি। আমরা নিজের ইচ্ছেয় এখানে এসেছি। সিন্ধিয়ার উপর যদি হামলা হতে পারে, তাহলে আমরা সুরক্ষিত কি করে থাকব? আমাদের সবাইকে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেওয়া উচিৎ। আমরা সবাই মিলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের কথা শোনার সময় নেই। আমরা বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। মধ্যপ্রদেশে মন্ত্রীদের কাছে বিধায়কদের থেকে অনেক বেশি শক্তি দেওয়া আছে। আমরা ন্যায় পাইনি। রাজ্যে সবথেকে বড় মাফিয়া রাজ চলছে।”
বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুত বলেন, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কমলনাথ আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দুটো মুখ ছিল। এটা গোটা রাজ্য জানত যে সরকার গঠনে সিন্ধিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সিন্ধিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী না বানিয়ে কমলনাথ আমাদের বলেছিল সব ঠিক থাকবে! কিন্তু সেটা হয়নি।”
উনি বলেন, ‘আমরা কমলনাথের যেই ব্যবহার দেখেছি, আমি মন্ত্রী হয়েও বলছি যে, উনি কখনো ১৫ মিনিট শান্তিমত কিছু শোনেন নি। আমরা আমাদের ইচ্ছেয় এখানে এসেছি। মিডিয়াতে বলা হচ্ছে যে, আমাদের বন্দি বানানো হয়েছে, কিন্তু এরকম কিছুই না। যখন সিন্ধিয়ার মতো বড় নেতার উপর হামলা হতে পারে, তখন আমরা মধ্যপ্রদেশে কিভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারি? এরজন্যই আমরা সমস্ত বিধায়ক ব্যাঙ্গালুরু এসে পৌঁছেছি।”