বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০১৪ সালে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসার পরই যে দাবি সবচেয়ে বেশি উঠতে দেখা গিয়েছে তা হল হিন্দুরাষ্ট্র (Hindu Rashtra)। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম যুবকরা যদি ইসলাম রাষ্ট্রের (Islamic State) দাবি তোলেন তাহলে কী হবে? এমনই মন্তব্য করলেন মৌলানা তওকির রাজা। ইত্তেহাদ-ই-মিলাতের জাতীয় সভাপতির এই বক্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। তওকির এদিন বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যেই ভয় ধরিয়ে দিতে চাইছে সরকার (Central Government)। সেই জন্যই বারবার মুসলিমদের উপর আঘাত করা হচ্ছে।’
মোরাদাবাদে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন তওকির। এই মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের বিরোধিতা করে যারা হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার কথা বলছে, তারা আসলে দুই ধর্মের মানুষেরই বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা আসলে ভারতেরই বিরোধী। যারা হিন্দুরাষ্ট্রের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ হিন্দুরাষ্ট্রের পালটা যদি মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি ওঠে, তাহলে দেশভাগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটা তো কখনই হতে দেওয়া যায় না।’
তওকির আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে মুসলিমরা বিস্ফোরণ ঘটাত, তারাই সন্ত্রাসবাদী ছিল। তাহলে এখন তাদের ব্যবহৃত বোমা কোথায় গেল? সেই বোমা তো এখন ব্যবহার করা উচিত কারণ আজ তো দেশে মুসলিমদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আসল কথাটা হল, মুসলিমরা তখনও সন্ত্রাসবাদী ছিল না,আজও নয়। নিজেদের স্বার্থেই মুসলিমদের খারাপ ভাবে দেখান হয়।’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই ইসলামি নেতা। কয়েকদিন আগেই হরিয়ানায় গরু পাচারকারী সন্দেহে দুই যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ও তওকির বলেছিলেন, লাঠি দিয়ে যদি দেশ চালানোর চেষ্টা করেন তাহলে মনে রাখা উচিত মুসলিমদের হাতেও লাঠি আছে। আর সেগুলো মোটেই দুর্বল নয়। তবে ইসলামি নেতার এই রকম উস্কানিমূলক মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও উঠে আসে নি বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রকাশ্যেই ভারতীয় সংবিধানকে (Indian Constitution) পরিবর্তন করে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ (Hindu State) বানানোর ঘোষণা করা হয়। এমনকি দাবি করা হয় নতুন ‘সংবিধান’ তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। খসড়াও নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তা বারাণসীর শঙ্করাচার্য পরিষদ নামে এক সংগঠন। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।