বাংলাহান্ট ডেস্ক : আঘাত পালটা প্রত্যাঘাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনিয়ে এসেছে ভারত-পাকিস্তানে (India-Pakistan)। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পালটা জম্মুতে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। একটি ড্রোনকেও ভারতীয় ভূখন্ড ছুঁতে দেয়নি সেনা। কিন্তু পালটা পরপর প্রত্যাঘাতে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। এর মধ্যেই এবার নড়েচড়ে বসল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার সকালেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোনে কথা বলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এয় জয়শঙ্কর এবং পাক (India-Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে। উভয়কেই তিনি অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর পথে এগোনোর জন্য অনুরোধ করেছেন বলে খবর।
ভারত ও পাকিস্তানকে (India-Pakistan) উত্তেজনা কমানোর আর্জি আমেরিকার
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এদিন বলেন, বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও এদিন সকালে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের (India-Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্রুত এবং সরাসরি আলোচনার প্রতি জোর দিয়ে এ বিষয়ে মার্কিন সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর উপরেও জোর দিয়েছেন রুবিও।
রাতেই ফের হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের: যদিও পাকিস্তান (India-Pakistan) যে সেকথা কানে তোলেনি তা বোঝা যায় রাতের দিকেই। জম্মু এবং কাশ্মীরের একাধিক এলাকা সহ পাক সীমান্তবর্তী রাজস্থান এবং পঞ্জাবেও একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (India-Pakistan)। সে সময় সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয় জম্মু সহ একাধিক শহরে। কিন্তু পাকিস্তানের হামলা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। একটি ড্রোনও ভারতের মাটিতে পড়তে দেয়নি দেশের সেনাবাহিনী।
আরো পড়ুন : BREAKING: জম্মুতে ড্রোন হামলা পাকিস্তানের, শহরজুড়ে ব্ল্যাক আউট! ড্রোন গুলি করে নামাল সেনা
ভারতের পালটা আঘাতে বিপর্যস্ত পাকিস্তান: জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসরেও সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয়। আর তারপরেই কার্যত ‘অল আউট’ হয়ে আক্রমণ চালায় ভারতীয় (India-Pakistan) সেনাবাহিনী। স্থল, বায়ু এবং জল তিন বাহিনীর একযোগে আক্রমণে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। আইএনএস বিক্রান্ত থেকে পরপর প্রায় ১২ টি বিষ্ফোরণে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে করাচি বন্দর।
আরো পড়ুন : কন্নড় ভাষাকে ‘অপমান’এর অভিযোগ, কেরিয়ারে বিরাট ধাক্কা খেলেন সোনু!
ইসলামাবাদ থেকে লাহোর, পেশোয়ারেও চলে পরপর হামলা। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বাসভবনের কিছুটা দূরেই বিষ্ফোরণ হয় বলে খবর। সূত্রের খবর বলছে, তারপরেই নাকি বাসভবন ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন শরিফ। অন্যদিকে পাকিস্তান আর্মি বেসে হামলা চালায় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মিও। সূত্রের খবর বলছে, এর মাঝেই তড়িঘড়ি আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে অপসারণ করে নতুন সেনাপ্রধানকে আনার খবরও শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে চতুর্দিকে চাপে পড়ে কার্যত নাস্তানাবুদ অবস্থা পাকিস্তানের।