বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) স্বাধীনের সময় দেশ ভাগ করে পাকিস্তান (Pakistan) গঠন করা মহম্মদ আলি জিন্নাহকেও (Muhammad Ali Jinnah) ছাড়ল না চোরেরা। চরম অর্থনীতির সংকটে ভোগা পাকিস্তানে জিন্নহার মূর্তি থেকে চশমা পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। এই মূর্তিটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রান্তের বেহারি এলাকায় ছিল। এক লেন্সের এরকম ধরণের চশমা পরেই জিন্নাহ আজীবন পড়াশোনা চালিয়েছেন। তবে মূর্তি থেকে যেই চশমাটি চুরি গিয়েছে, সেটি তাঁর আসল চশমার নকল সংস্করণ মাত্র।
যেই এলাকায় এই মূর্তি গড়া হয়েছিল, সেখানে বড়বড় পাক আমলাদের বাড়ি রয়েছে। আর সেখানে সর্বদাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট থাকে। বলে দিই, মহম্মদ আলি জিন্নাহর এমন অনেক ছবি রয়েছে, যেখানে ওনাকে এক লেন্সের চশমা পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। জিন্নাহর এই মূর্তিটি পাকিস্তানের সংবিধান সভায় দেওয়া একটি ভাষণের ছবির উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছিল। সেই ভাষণে জিন্নাহ সংখ্যালঘুদের তাঁদের অধিকার দেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রবিবারের রাতে চোরেরা জিন্নহার মূর্তি থেকে চশমাটি চুরি করে নেয়। যদিও, চোরেরা যে মূর্তি ভাঙেনি, সেটাই ভাগ্য ভালো। কারণ এর কিছুদিন আগে পাকিস্তান থেকে জিন্নহার মূর্তি ভাঙার খবর সামনে এসেছিল। রবিবার চুরির কথা সামনে আসতেই আধিকারিকরা চোরেদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করে দেন। তদন্তকারী অফিসাররা সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
বলে দিই, পাকিস্তান থেকে যেই মূর্তি ভাঙার খবর এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল, সেটি বালোচ বিদ্রোহীদের কারণে হয়েছিল। বিদ্রোহীরা মহম্মদ আলি জিন্নহার মূর্তি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনা পাকিস্তানের গ্বদর শহরে হয়েছিল, যেখানে চীন কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডোর তৈরি করছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জিন্নহার মূর্তি এমন জায়গায় ছিল, যেটি পাকিস্তানের সুরক্ষিত স্থানের মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়।