হাসিনা বিদেয় হয়েও হলটা কী! অশান্তি অব্যাহত বাংলাদেশে! শেষে গদিচ্যুত হবেন ইউনূসও?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেখ হাসিনার মতোই কি অবস্থা হবে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus)? উঠছে প্রশ্ন। কারণ উন্মত্ত জনতার নজর এবার ইউনূসের বাসভবনের দিকে। নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশে আবার ছড়াচ্ছে ক্ষোভের আগুন।

ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে বাংলাদেশ (Bangladesh)

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩১ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আবারও ঢাকার রাজপথে শুরু হল বিক্ষোভ। এবার জনতার বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবার হয়তো অশান্ত বাংলাদেশের শান্তি ফিরবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু কোথায় কি! আন্দোলন যেন শেষ হতে চাইছে না বাংলাদেশে। সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩১ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়ে গতকাল সোমবার গণ আন্দোলন শুরু হয়েছে ঢাকার রাজপথে।

আরোও পড়ুন : একের পর এক কামাল করছেন রোহিত! এবার ছাপিয়ে গেলেন কোহলিকেও, হিটম্যান গড়লেন রেকর্ড

সোমবার সকালে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের থেকে মিন্টো রোডে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইউনূসের সরকারি বাসভনের দিকে পদযাত্রা করে আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশের  (Bangladesh) পুলিস অবশ্য সভা-সমাবেশে করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউনূসের বাসভবনের সামনে।

নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করে যমুনা দখলের চেষ্টায় এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। যদিও বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। বাংলাদেশে (Bangladesh) খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিস এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

আরোও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে টাটার অনুরাগী! এই দেশের সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি করবে আর্মর্ড ভেহিক্যালস

তবে সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনেই প্রথম নয়। আওয়ামী লিগ সরকারও আন্দোলনকারীদের সেই দাবি মানেননি। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ইউনূসও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা বৃদ্ধি করার বিষয়ে কোনো সদিচ্ছা প্রকাশ করেননি।