অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হোক “ভারত বিরোধী” ইউনূস! নাম সামনে আসতেই শুরু হল হইচই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিরোধীদের উস্কানিতে ছাত্র আন্দোলন সেখানে হিংসাত্মক রূপ নেয়। যার ফলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন। প্রায় ৪৯ বছর আগে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক অভ্যুত্থানে হত্যা করা হয়। তখন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন ছাড়া পরিবারের কেউ বাঁচতে পারেননি। তখন দুই বোনই জার্মানিতে ছিলেন। যার কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের বংশ কোনওভাবে রক্ষা পায়।

কে হবেন বাংলাদেশের (Bangladesh) নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা:

কিন্ত, এখন প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর আবারও গৃহহীন হয়েছেন শেখ হাসিনা। তখনও ভারত তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং আজও তিনি ভারতেই রয়েছেন। এর ফলে হাসিনাবিরোধী বাংলাদেশীরা গভীরভাবে বিরক্ত। তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি মৌলবাদের আগুনে পুড়তে থাকা বাংলাদেশে (Bangladesh) ভারতের বিরুদ্ধে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।

   

Muhammad Yunus can be the head of the interim government of Bangladesh.

মুহাম্মদ ইউনূস কে: ড: মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ (Bangladesh) গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। শেখ হাসিনার সাথে ইউনূসের প্রবল বিরোধ রয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁকে সুদখোর হিসেবে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের “গণতন্ত্রের খুনি” বলে অভিহিত করেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ইউনূস বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যায় ভারতের সাহায্য রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। ইউনূসের মতে, শেখ হাসিনা শুধু ভারতের সমর্থনে নির্বাচন না করে স্বৈরাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আছেন।

আরও পড়ুন: বিরাট কৃতিত্ব, মুকেশ আম্বানির Reliance গড়ল বড় নজির! ধন্য ধন্য করছে গোটা দেশ

ভারতের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ীর কি অভিযোগ রয়েছে: জানিয়ে রাখি যে, মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের (Bangladesh) নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হতে পারে। তিনি বলেছেন যে ভারত নিজের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিপরীতে, তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে স্বৈরাচারকে সমর্থন করেছে। ভারত-বাংলাদেশের সর্বশেষ বিরোধকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করায় তিনি ব্যথিত। ইউনূস বলেছেন যে, বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ। তাহলে কিভাবে ভারত এখানকার পরিবেশের অবনতির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে না? তিনি বলেন, বাংলাদেশও সার্কের সদস্য। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করা ভারতের দায়িত্ব।

আরও পড়ুন: “পরবর্তী টার্গেট মুকেশ আম্বানি”, মন্দির থেকে হুমকি চিঠি মিলতেই ছড়াল চাঞ্চল্য, তদন্তে নামল পুলিশ

মলদ্বীপের মুইজ্জুর মতো কি বাংলাদেশের ইউনূস: নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে (Bangladesh) আগুন লাগলে আগুনের লেলিহান শিখা প্রতিবেশী দেশগুলিতেও পৌঁছবে। ভারত কেন সব সময় শেখ হাসিনার পাশে থাকে তা নিয়েও তিনি ক্ষুব্ধ। এদিকে, ভারতের হয়ে ইউনূসের এই ধরণের চিন্তাভাবনা বেশ মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। বাংলাদেশে এখনও অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়নি। পাশাপাশি, ইউনূসও কোনও পদ এখনও পাননি। তার আগে ইউনূসের ভারতবিরোধী মনোভাব উদ্বেগজনক। মলদ্বীপে, মোহম্মদ মুইজ্জুও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি শুরু করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে ভারতের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছিলেন। এই কারণে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই তিক্ত হয়ে পড়ে। এখন ইউনূসের মতো ব্যক্তির কারণে বাংলাদেশও ভারতবিরোধী পথে এগিয়ে যেতে পারে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর