বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্বাধীন বাংলাদেশে (Bangladesh) এখন চলছে নতুনভাবে গড়ার কাজ। তবে বাংলাদেশে এখন পরাধীন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের উপর প্রতিদিন অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে সেখানকার শাসকেরা। হত্যা, নির্যাতন, বাড়ি, মন্দির ভেঙে দেওয়া ইত্যাদির ঘটনা হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের বিষয়। কিন্তু এই বিষয় মান্যতা দিতে নারাজ সে দেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। বরং মহম্মদ ইউনূস এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন। তবে এবার নতুন সরকারের মুখোশ খুলে গেল। কারণ এবার সংবিধানে বদল আনতে চলেছেন তিনি। আর তাতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত থাকবে কিনা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানে বড়বদল ইউনূস সরকারের:
হাসিনা বিদায়ের পর এখন গদিতে বসে বাংলাদেশ (Bangladesh) চালাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনূস। আর ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সংস্করণের কাজে নেমেছেন তিনি। বদলানো হয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা, প্রতিষ্ঠানের নাম। এত কিছু সংস্করণের পর এবার সংবিধানের বদল আনতে চলেছেন ইউনূস। আর তাতেই বাদ পড়তে চলেছে ধর্মনিরপেক্ষতা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল আন্তর্জাতিক স্তরে।
সংবিধান থেকে বাদ পড়তে চলেছে ধর্মনিরপেক্ষতা: সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আর সেই সুপারিশ জমা পড়তেই জানা যায়, সেখান থেকে বাদ পড়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা। শুধু তাই নয়, একই সাথে আরো তিনটি মূলনীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব জমা পড়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে মূল চারটি নীতি হচ্ছে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধান রচিত হওয়ার সময় এই চারটি নীতি গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আর কিছুক্ষণ! আর জি কর কাণ্ডে রায়দানের আগেই বিরাট কাণ্ড ঘটাতে চলেছেন চিকিৎসকেরা
সংবিধানে নতুন নীতির সুপারিশ: জানা যাচ্ছে, সংবিধানে যে সংস্করণ হচ্ছে সেখান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা তো বাদ যাচ্ছেই। সেইসাথে সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদ এবং এই সম্পর্কিত সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার প্রস্তাবও জমা পড়েছে। উল্টোদিকে সংবিধানে বদল এনে, পাঁচটি নতুন নীতি গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই পাঁচটি নীতি হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। মূলত জুলাইয়ের গণ আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে এই পাঁচটি নীতি সুপারিশ করা হচ্ছে বলে জানা যায় বিশেষ সূত্রে।
আরও পড়ুনঃ হয়ে যান সতর্ক! এবার বাজারে থেকে উধাও হবে ২০০ টাকার নোট, কি জানাল RBI?
তবে এখনই সংবিধান বদল হচ্ছে না। সবেমাত্র সংবিধান সংস্কার কমিশন এই প্রস্তাব জমা করেছে। আগামী দিনে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় বসবে অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর হয়তো বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানে বদল আসতে পারে। এমনকি এই সংবিধান বদলের জন্য গণভোটও হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এখন দেখার অপেক্ষা যে সত্যি যদি সংবিধানে বদল আসে তাতে সংখ্যালঘুদের উপর কি প্রভাব পড়বে?