বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিনিয়ত ঘোলা হচ্ছে পদ্মার জল। যেদিন থেকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) ছেড়েছেন সেদিন থেকেই বেড়েছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন। ক্ষমতায় এসেছেন ইউনূস সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধরা পড়েছে একের পর এক হিংস্রতার ছবি। ভাঙা হয়েছে হিন্দুদের একের পর এক মন্দির, ঘর-বাড়ি। চালানো হয়েছে চরম নির্যাতন। আর এবার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নিল বিরাট পদক্ষেপ। সরকারের তরফ থেকে চালু করা হচ্ছে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর।
সংখ্যালঘুদের অভিযোগ জানাতে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার চালু করল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর:
জানা গিয়েছে, প্রতিনিয়ত সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। যদিও এই নির্যাতনের পিছনে “সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা” নয় বরং “রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে” তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনাকে স্বীকার করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আর এই নির্যাতন বন্ধ করতে, এবং সংখ্যালঘুরা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে তার জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশ নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। পাশাপাশি “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করা হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে ইউনূস সরকার।
ইউনূস সরকারের নয়া পদক্ষেপে উপকৃতভাবে সংখ্যালঘুরা: বলা হচ্ছে যে, আগামী দিনে এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তকে সরাসরি গ্রেফতার করা হবে। কোনও রেয়াত দেওয়া হবে না অভিযুক্তদের। শুধু তাই নয় একই সাথে এরকম ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ ফোন করে সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবে। তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবে এতে কতটা সুরক্ষিত থাকবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘুরা সে কথা বলা মুশকিল।
আরও পড়ুনঃ ৬০ অতীত! এবার বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবসরের বয়স! কবে হতে পারে ঘোষণা?
ঠিক কতটা বেড়েছে সেখানকার অত্যাচারের পরিমাণ: বলা যায় শেখ হাসিনা বিদায়ের পর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) নিধন যজ্ঞ শুরু হয়েছে। আর এই যজ্ঞে বলি হতে হচ্ছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। যদিও সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঐক্য পরিষদ দাবি করছে শেখ হাসিনা বিদায়ের একদিন আগে থেকেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ৪ অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২০১০টি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এই ঘটনার মধ্যে ১,৭৬৯টি ঘটনার অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের পুলিশ ৬২টি মামলা রুজু করেছে এই সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৩৫ জন অভিযুক্তকে। তবে এই সমস্ত ঘটনাকে ইউনূস সরকার রাজনৈতিক হামলা বলে দাবি করছেন।
আরও পড়ুনঃ বছরে ১,১০০০০ প্রোমোশন! বাড়বে ক্যাম্পাসিংয়ে নিয়োগ, বিরাট ঘোষণা করল TCS
বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংখ্যালঘু সংগঠনের এই রিপোর্ট নিয়ে শনিবার দাবি করেন, এই ঘটনাগুলি সমস্তটাই রাজনৈতিক হামলা। তিনি বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ১,২৩৪টি ঘটনার চরিত্র রাজনৈতিক। মাত্র ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক।” এর আগেও এই নিয়ে অনেকেই দাবি তোলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এই সমস্ত ভিডিওগুলিকে বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে। আর এখন এগুলিকে রাজনৈতিক হামলা বলে ব্যাখ্যা করা হলো।