মালদায় মহরমের জুলুসের জন্য বন্ধ মন্দিরে ঢোকার রাস্তা! গুরুতর অভিযোগ বিজেপির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) মহরমের একদিন আগে, একটি দুর্গা মন্দিরে (Durga Temple) ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই মন্দিরটি মালদা জেলার কালিয়াচকে অবস্থিত। গতকাল দিল্লিতেও তাজিয়ার মিছিল থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। পুলিসের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

শান্তি বজায় রাখতে লাঠিচালায় দিল্লি পুলিস। দিল্লির পুলিস আধিকারিক হরেন্দ্র কুমার সিং জানান, নাংলোইতে তাজিয়ে মিছিলে ৮-১০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১-২ জন সংগঠক আগে থেকেই নির্ধারিত পথ ধরে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আপত্তি জানায় পুলিস। এর পরই মিছিলে থাকা লোকজন পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। এতে ১০ পুলিস সদস্য আহত হন।

এরপরই একাধিক প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। মানুষের প্রশ্ন মৌলবাদী মুসলিম চিন্তাধারার ওপর ভিত্তি করে যারা সন্ত্রাস করছে তাদের রুখতে কী করছে প্রশাসন? মানুষের আরও প্রশ্ন, ২৯ জুলাই ২০২৩ মহররমের দিনে হিন্দুদের কোনো উৎসব ছিল না, তাহলে রাস্তায় সন্ত্রাস কারা করল, কেনই বা করল? দিল্লি পুলিস বাধ্য হল ধর্মান্ধ ইসলাম জনতাকে লাঠিচার্জ করতে। প্রশ্ন উঠেছে পাথর নিক্ষেপের মানসিকতায় ভোগা জনতাকে কেন মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল? যদি দেওয়াই হয় তাহলে সেই দেশেরই অপর রাজ্য বাংলায় কেন হিন্দু মন্দিরে ব্যারিকেডিকরা হয়? একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বিজেপিও।

muharram

হিন্দু মন্দিরে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করছে বিজেপি। বিতর্ক তৈরি হতেই ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মী অমিত ঠাকুর টুইট করে লেখেন, ‘এই মর্মান্তিক ছবি পশ্চিমবঙ্গের মালদহের কালিয়াচকের। যেখানে মহরমের মিছিলের জন্য দুর্গা মন্দির অবরুদ্ধ করা হয়। এই হল পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের অবস্থা। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ লোকেরা কেন এই বিষয়ে কথা বলছে না?

এই টুইটের পাশাপাশি তিনি ‘কালিয়াচক থানা শরবজনীন দুর্গা মন্দির’ নামের একটি মন্দিরের ছবিও শেয়ার করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, বাঁশের লাঠি দিয়ে মন্দিরটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর