বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার জেরে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার আশঙ্কা উত্তরোত্তর ঘনীভূত হচ্ছে। আর এই আর্থিক সংকটের কারনেই এক দিনে মুকেশের মোট সম্পদের পরিমাণ কমে গিয়েছিল ৫৮০ কোটি ডলার। যা মোট সম্পদের পরিমাণের নিরিখে আলিবাবা গ্রুপের কর্ণধার জ্যাক মা-র চেয়ে মুকেশকে ২৬০ কোটি ডলার পিছিয়ে দিয়েছিল। এবার ফের একবার শীর্ষে মুকেশ। ইতিমধ্যেই ফেসবুক ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে জিওতে। মুকেশ আম্বানির সংস্থার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৫৬-৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে তার ১০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য হয় ৬.৫ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার। যার ফলেই ফের একবার এশিয়ার সবচেয়ে ধনী জিও এর কর্ণধার।
তেলের দাম ও করেনা ভাইরাসের কারনে রিলায়্যান্সের শেয়ারের দর পড়েছে হু হু করে। এই দুই কারনে আর্থিক ক্ষতি হলেও বিশ্বজুড়ে ক্লাউড কম্পিউটিং আর মোবাইল অ্যাপসের ব্যবসার রমরমায় সেই ক্ষতির অনেকটাই পুষিয়ে গিয়েছিল জ্যাক মা-র। যে কারনে ২০১৮ সালে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীর শিরোপা খোয়ানো জ্যাক মা ফের একবার শীর্ষে উঠে আসেন৷ এবার ফেসবুকের বিনিয়োগ আরেকবার ধনীর তালিকায় সবচেয়ে উপরে স্থান করে দিল অম্বানিকে।
ইতিমধ্যেই jio তে ৪৪ হাজার কোটি টাকার লগ্নি করেছেন ফেসবুক। এই গাঁটছড়া এক ই কমার্স ব্যাবসায় বিপ্লব আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জিও মার্ট কে হোয়াটসঅ্যাপ এর সাথে জুড়ে আমাজন ফ্লিপকার্টের বাজার দখল নিতে চাইছেন অম্বানি।
ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।