বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই প্রথমবারের মতো, দেশের দুই শ্রেষ্ঠ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং গৌতম আদানির (Gautam Adani) মধ্যে একটি সরাসরি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আম্বানির (Mueksh Ambani) কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আদানি পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Mahan Energen-এর পাঁচ কোটি শেয়ার কিনেছে। রিলায়েন্স এক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে এই তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, ৫০ কোটি টাকায় এই চুক্তি হয়েছে। মার্চ মাসে এই চুক্তির ঘোষণা করার সময়, রিলায়েন্স Mahan Energen-এর ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনার কথা বলেছিল। তবে, এবার আম্বানির কোম্পানি বলছে যে তারা এই চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
চুক্তি সম্পন্ন হল আম্বানি-আদানির (Mukesh Ambani-Gautam Adani) মধ্যে:
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত Mahan Energen-এর মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলি জেলায় একটি থার্মাল প্ল্যান্ট রয়েছে। বর্তমানে এর ক্যাপাসিটি ১,২০০ মেগাওয়াট। এর আগে এটির মালিকানা ছিল এসার পাওয়ারের কাছে। আদানি পাওয়ার এটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৪,২৫০ কোটি টাকায় কিনেছিল। ২০২৩ সালের অর্থবর্ষে Mahan Energon-এর আয় দাঁড়িয়েছে ২,৭৩০.৬৮ কোটি টাকায়।
এর আগে ২০২২ সালে, কোম্পানিটি ১,৩৯৩.৫৯ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালে ৬৯২ কোটি টাকা রেভিনিউ অর্জন করেছিল। এদিকে, আদানি গ্রুপ Mahan Energen-এর পাওয়ার জেনারেশন ক্যাপাসিটি ৪,৪০০ মেগাওয়াটে বাড়ানোর জন্য প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। এমতাবস্থায়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এই প্ল্যান্ট থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ ব্যবহারের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন: পুরীতে নেমে আসছে কোন অভিশাপ? রথ থেকে নামানোর সময় আচমকাই পড়ে গেল বলরামের মূর্তি
আম্বানি এবং আদানির মোট সম্পদ: ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ভারত এবং এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হল ১২০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরেই আম্বানির মোট সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩.৮ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন ১২ নম্বর স্থানে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরাট চাল! প্রতি মাসে মিলবে ১০,০০০ টাকা, মালামাল হবে দেশের জনগণ
অন্যদিকে, গৌতম আদানির (Gautam Adani) মোট সম্পদের পরিমাণ হল ১০৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত ও এশিয়ায় আম্বানির পরেই তিনি দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ধনকুবের হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। এই বছর তাঁর মোট সম্পদ ১৯.৭ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে এবং তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১৪ নম্বরে রয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিলায়েন্স দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং আদানি গ্রুপ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। উভয় গ্রুপই গ্রিন এনার্জি সেক্টরে ভালোভাবে অগ্রগতি করছে।