অনন্য নজির! টানা দু’বছর কোনো বেতন নেননি মুকেশ আম্বানি, পেছনে রয়েছে বড় কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) প্রায় সবসময়ই থাকেন খবরের শিরোনামে। সেই রেশ বজায় রেখেই তাঁর আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য এবার সামনে এল। মূলত, এবার এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই বিজনেস টাইকুন। জানা গিয়েছে, মুকেশ আম্বানি করোনা মহামারীর পর টানা দু’বছর তাঁর মূল কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries) থেকে কোনো বেতন নেননি। শুধু তাই নয়, করোনার মত ভয়াবহ মহামারী ব্যবসা এবং অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে বলেই আম্বানি স্বেচ্ছায় তাঁর পারিশ্রমিক নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন মারফত এই তথ্য উঠে এসেছে।

বেতন নেননি মুকেশ আম্বানি: এই প্রসঙ্গে RIL তার সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে যে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে আম্বানির পারিশ্রমিক “শূন্য” ছিল। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি ২০২০ সালের জুনে স্বেচ্ছায় ২০২০-২১-আর্থিক বছরের জন্য তাঁর বেতন ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। মূলত, করোনা মহামারীর জন্য দেশের অর্থনৈতিক ও শিল্প-স্বাস্থ্য খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে, এই রিপোর্ট আসার পরই মুকেশ আম্বানির এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছেন সকলে।

দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আম্বানি: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে মুকেশ আম্বানি ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষেও তাঁর বেতন গ্রহণ করেননি। অর্থাৎ দু’বছর যাবৎ বেতন নেননি আম্বানি। এছাড়াও, তিনি এই দুই বছরে কোম্পানির চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য রিলায়েন্সের কাছ থেকে কোনোরকম ভাতা, অবসরকালীন সুবিধা, কমিশন বা স্টক বিকল্পও গ্রহণ করেননি।

MUKESH AMBANI 1 1

যদিও, এর আগে একটি ব্যক্তিগত উদাহরণ স্থাপন করে তিনি ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদের বেতন ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করেছিলেন। তবে, তাঁর খুড়তুতো ভাই নিখিল এবং হেতাল মেসওয়ানির পারিশ্রমিক ২৪ কোটি টাকায় অপরিবর্তিত ছিল। যদিও, এবার সেখানে ১৭.২৮ কোটি টাকার কমিশন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অপরিদকে, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পিএমএস প্রসাদ এবং পবন কুমার কপিলেরও পারিশ্রমিক কিছুটা কমেছে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর