বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের কারনে দেশের অর্থনীতি চরম সংকটে, কিন্তু জিও (jio) এর কর্ণধার মুকেশ অম্বানির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। ক্ষতি তো দূরের কথা বরং একের পর এক লাভজনক সংস্থার সাথে জোট বেঁধে সংস্থাকে চূড়ান্ত লাভের মুখ দেখিয়েছেন তিনি। এবার এক দিনেই ৩৬,৫০০ কোটি টাকা আয় করলেন তিনি।
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির একদিনে আয় করেছেন প্রায় ৩,৬৫০০ কোটি টাকা। ব্লুমবার্গ বিলিয়নারিজ ইনডেক্স অনুসারে, রিলায়েন্সের মূলধন এই মুহুর্তে রেকর্ড অংকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি এখন ধনীদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন।
রিলায়েন্সের শেয়ার করেছে রেকর্ড
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন সোমবার রেকর্ড $ 150 বিলিয়ন অতিক্রম করেছে। সোমবার বিএসইতে রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে 1804 টাকা, যা আজ অবধি রেকর্ড।
2016 সালে জিও চালু হওয়ার পরে, রিলায়েন্স দেশের একমাত্র সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে যা দ্রুত বর্ধমান ভারতীয় বাজারে আমেরিকান প্রযুক্তি গ্রুপগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। মোবাইল টেলিকম থেকে শুরু করে হোম ব্রডব্যান্ড পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ই-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করেছে রিলায়েন্স।
এছাড়াও, ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।
পাশাপাশি, জিওমার্ট আর হোয়াটসঅ্যাপের জুটিতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল কেনাবেচায় অভ্যস্ত হবেন। লকডাউন বা ভবিষ্যতে এমন সঙ্কটের পরিস্থিতি এলে অনলাইনেই গ্রাহকরা জিনিসপত্রের অর্ডার দিতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে দেশে। ছোট ব্যবসায়ীদের রুজি রোজগারে টান পড়বে না। দ্বিতীয়ত, সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদেরও। বাড়ি বসেই সহজে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস চলে আসবে হাতে। জিওমার্ট যেহেতু রিল্যায়ান্স জিও-র প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় অফারও চলতে থাকবে বিভিন্ন সময়ে।