বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত কয়েক মাস ধরে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের। শেয়ার বাজারের ক্রমাগত রক্তক্ষরণে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকি মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানির (Mukesh Ambani-Gautam Adani) মতো ধনকুবেরদের (Billionaire) সম্পদও কমেছে লক্ষণীয়ভাবে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে আম্বানি-আদানির (Mukesh Ambani-Gautam Adani) অবস্থান
এই অবস্থাতেও বৃহস্পতিবার আদানি (Adani Group) গ্রুপের শেয়ারের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় গৌতম আদানির (Gautam Adani) সম্পদ মূল্য বৃদ্ধি পেল ৪৫৫ মিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবারের এই আর্থিক বৃদ্ধির ফলে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে এক ধাপ উপরে উঠে আসলেন আদানি কর্ণধার। বর্তমানে ৬৮.৫ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদ নিয়ে গৌতম আদানি রয়েছেন ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে ২১ নম্বর স্থানে।
আরও পড়ুন : ফের জমবে TRP-র যুদ্ধ, মুখোমুখি দুই চ্যানেল, কখন দেখবেন সোনার সংসার-পরিবার অ্যাওয়ার্ড?
হিসাব বলছে, চলতি বছর যে সকল ভারতীয় বিলিনিয়রদের সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছিল, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন গৌতম আদানি। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ১০.২ বিলিয়ন ডলার সম্পদ খুইয়েছেন গৌতম। পাশাপাশি রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এই বছর হারিয়েছেন ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। ৮৫.২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে বর্তমানে মুকেশ আম্বানি রয়েছেন ১৭ তম স্থানে।
আরও পড়ুন : নায়ক নায়িকার প্রেমে কাঁচি, রোম্যান্স জমে ওঠার আগেই TRP-র কোপে জলসার মেগা
চলতি বছর সম্পদ হ্রাসের তালিকায় গোটা বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছেন টেসলা কর্ণধার মাস্ক। ২০২৫ সালে গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি সম্পদ কমেছে ইলন মাস্কের। বৃহস্পতিবার টেসলা কর্ণধার ১০.৯ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হন। আর তারপরই চলতি বছর মাস্কের ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৮.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা)। যদিও এরপরেও ৩৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে ইলন মাস্ক এখনও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি।
রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ধনকুবেরদের প্রথম পাঁচজনই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের। এই তালিকায় মাস্ক ছাড়াও রয়েছেন মাইকেল ডেল। ২০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ডেলের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি চলতি বছর ল্যারি এলিসন ১৯.৩ বিলিয়ন ডলার, জেনসেন হুয়াং ১৭.২ বিলিয়ন ডলার ও জেফ বেজোস ১৬.৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।