বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তাই রিলায়্যান্সের চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত জীবনে কেমন তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে অনেকের। তাঁর বাসস্থান ‘অ্যান্টিলিয়া’র ভিতরে কেমন ব্যবস্থা রয়েছে, গ্যারাজে ক’টি গাড়ি রয়েছে তাঁর, অথবা তাঁর সম্পত্তি – সব কিছু নিয়েই মানুষের কৌতূহল তুমুল। এ বার আম্বানিকে নিয়ে আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এল। তিনি নাকি বেশ খাদ্যরসিক এক ব্যক্তি!
সম্প্রতিই ৬৬ বছরে পা দিলেন রিলায়্যান্স গ্রুপের মালিক। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে এমনিতে নিয়ম মেনেই খাওয়া দাওয়া করেন। অল্প পরিমাণে খাবার খান। কিন্তু খাবার খেতে ভালবাসেন তিনি। এমনকী ইচ্ছে করলে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের নানা রেস্তরাঁর খাবার খেতে পারেন মুকেশ আম্বানি! যদিও মুকেশ আম্বানি মুম্বইয়ের একটি রেস্তরাঁর নিয়মিত গ্রাহক। এতটাই নিয়মিত যে ওই রেস্তরাঁ ছাড়া অন্য কোনও রেস্তরাঁর খাবার তিনি নাকি খানই না!
মুম্বইয়ের একটি বহুল জনপ্রিয় খাবারের দোকান হল ‘স্বাতী স্ন্যাকস’। দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত মানুষই নাকি এই দোকানের খাবারের ভক্ত। সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে মিলে এই রেস্তরাঁয় এসে জমিয়ে বড়া পাও খেয়ে গিয়েছেন টিম। শুধু তাই নয়, এই দোকানের খদ্দেরের তালিকায় রয়েছেন দেশের বহু ক্রিকেটার থেকে অভিনেতা এবং শিল্পী।
এই দোকানটি কিন্তু একেবারেই পাঁচ তারা কোনও দোকান নয়। বরং ছিমছাম সাধারণ একটি দোকান। কিন্তু ‘স্বাতী স্ন্যাকস’-এর খাবারের জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। এতটাই নাকি ভাল এই দোকানের খাবারের মান। ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এই দোকানের খাবারের বড় ভক্ত বলে শোনা যায়। এতটাই যে প্রতি সপ্তাহের এক দিন এখান থেকে খাবার অর্ডার করে খান তিনি।
‘স্বাতী স্ন্যাকস’-এর ভেলপুরি এবং দই বড়া নাকি সবচেয়ে প্রিয় আম্বানির। এমনকী দেশের বাইরে গেলেও নাকি তাড়াতাড়ি কাজ গুটিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করেন তিনি। শুধুমাত্র ‘স্বাতী স্ন্যাকস’-এর খাবারের টানে। তবে শুধু মুকেশ আম্বানিই নয়, আম্বানি পরিবারের বাকি সদস্যদেরও এই দোকানের খাবার বিশেষ পছন্দের। সেই তালিকায় রয়েছেন মুকেশ-পত্নী নীতা আম্বানিও। শোনা যায়, ‘স্বাতী স্ন্যাকস’-এর খাবার মুগ্ধ করেছিল তবলাবাদক জাকির হুসেন থেকে চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনকেও।