বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত দেড় মাস ধরে ব্যাপক চর্চায় ছিলেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে চর্চার শিখরে ছিলেন গৌতম আদানি। মার্কিন এই সংস্থার রিপোর্টের পর আদানির শেয়ারে ধস নেমেছে। ক্ষয়ক্ষতির সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারেও। দ্রুত বাড়ছে শেয়ারের দাম। গৌতম আদানির সম্পত্তিও আবার ঊর্ধমুখী। অন্যদিকে, আর এক ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সম্পত্তি পড়তির দিকে।
গত ১০ দিনে আদানি গ্রুপ তাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর গৌতম আদানির সম্পত্তি কমে হয়েছিল ৩১ বিলিয়ন ডলারে। এক সময় বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন আদানি। কিন্তু ওই রিপোর্টের জেরে তিনি নেমে গিয়েছিলেন ৩৭ নম্বর স্থানে। তবে আবারও ফোর্বস ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ২৪ নম্বরে পৌঁছেছেন তিনি। এখন তাঁর মোট সম্পত্তি দাঁড়িয়েছে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলারে।
তবে মুকেশ আম্বানির ক্ষেত্রে চিত্রটা একটু অন্যরকম। রিলায়্যান্সের চেয়ারম্যান সোমবার ১.৩ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন। এই ক্ষতির ফলে ফোর্বস বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে তিনি রয়েছেন নবম স্থানে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮২.১ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক দিন শেয়ার বাজারে খুব একটা ভাল ফল করেনি রিলায়্যান্স। সোমবারও রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম কিছুটা নেমে গিয়েছে।
সোমবার অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম দিন রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম ১.৬৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। দিনের শেষে তাদের শেয়ারের দাম ছিল ২২৮৪.৯০ টাকা। শুক্রবারও ১.৫ শতাংশ দাম পড়েছিল রিলায়্যান্সের। ওইদিন রিলায়্যান্সের মূলধন ছিল ১৫,৭১,৭২৪.২৬ কোটি টাকা। সোমবার সেই মূলধনও পড়ে গিয়েছে। একদিনে প্রায় ২৫,৮৭৭.৯৯ কোটি টাকা কমল মূলধন।
এই ফলাফলের ফলে অনেকটাই ক্ষতি হল দেশের আরও এক ধনকুবেরের। যদিও সম্পত্তির নিরিখে মুকেশ আম্বানির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন গৌতম আদানি। একদিকে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি যেখানে রয়েছে ৮২.১ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, গৌতম আদানির সম্পত্তি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলারে। তাই ধনী ব্যক্তিদের তালিকাতেও এর প্রভাব পড়েছে। আগের মতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আপাতত চলছে না দুই ধনকুবেরের মধ্যে।