বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার থেকেই কলকাতার নিউটাউনের শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। গতকালের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, মঞ্চ আলোকিত করে হাজির হয়েছিলেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। এদিনের অনুষ্ঠানে বসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) জন্য মমতা ‘লাকি’!
মমতাকে ‘লাকি’ বলে মন্তব্য করেছেন আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর কথায়, ‘২০১৬ সালে কলকাতা থেকে যে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল জিও।এই শহর থেকেই, সিটি অফ জয় থেকে। সেই শুভ মুহুর্ত প্রমাণ করেছে দিদি আমাদের জন্য লাকি। সেই মুহূর্তটার হাত ধরে ভারতে শুধুমাত্র ডিজিটাল বিপ্লব আসেনি, সেইসাথে ভারত আজ ডিজিটাল সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়েছে। আজ জিয়ো শুধুমাত্র ভারতের এক নম্বর ডিজিটাল পরিবেষা প্রদানকারী সংস্থা বা ডেটা কোম্পানি নয়, বিশ্বেরও এক নম্বর সংস্থা। একসময় এই সফর শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে।’
সৈকত শহর দিঘা নিয়েও দারুন ঘোষণা করেছেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ভারতীয় ধনকুবেরের কথায় দিঘায় রিলায়েন্স জিওর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের কাজ করা হচ্ছে। যা পূর্ব ভারতের প্রথম কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন হতে চলেছে। আম্বানি জানিয়েছেন আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এই কাজ শেষ হলে ফাইবার যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পাল্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতায় এআই ডাটা সেন্টারের ঘোষণা
কলকাতায় একটি রেডি এআই ডেটা সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান (Mukesh Ambani)। তিনি জানিয়েছেন ২০২৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ নিউ টাউনের সেই ডেটা সেন্টারের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ শেষ করার জন্য ৯ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: আইন আসুক! গোটা দেশে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করা হোক! হেভিওয়েট তৃণমূল তারকা সাংসদের দাবিতে শোরগোল
গতকাল বাণিজ্য সম্মেলন থেকে স্মৃতিচারণা করে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, ‘২০১৬ সালে যখন প্রথম এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম, তখন রিলায়েন্সের বিনিয়োগের অঙ্কটা ২০০ কোটি টাকার কম ছিল। তবে এক দশকেরও কম সময়ে আজ বাংলায় আমাদের বিনিয়োগের অঙ্ক ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাংলায় ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। এই দশক শেষ হওয়ার মধ্যে আমরা সেই বিনিয়োগের অঙ্কটা দ্বিগুণ করব।’
বাংলার জন্য উপহারের ঝুলি উপুর করে আম্বানি আরও জানালেন, আগামী তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে ৪০০টি রিলায়েন্স স্টোর খুলবে। বাংলার শিল্পকলাকে তুলে ধরা হবে ‘স্বদেশ’ স্টোরের মাধ্যমে। বাংলার বিভিন্ন শিল্পকলা পৌঁছে যাবে বিদেশে। শুধু তাই নয়, একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ চলতি বছরের শেষের মধ্যে ‘গ্রিন এনার্জি’ কর্মসূচির আওতায় চলে আসবে।