বাংলাহান্ট ডেস্ক: রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)! ভারতীয় ব্যবসার দুনিয়ায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। জানা যাচ্ছে, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি তাঁর সন্তানদের মধ্যে ব্যবসার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিন সন্তানের মধ্যে কিছুটা ব্যবসা ভাগ করে দিয়েছেন এই ধনকুবের। এ বার পুরো দায়িত্বই তুলে দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে। তাহলে কী অবসর নিচ্ছেন মুকেশ আম্বানি?
আসলে তা নয়। বিদ্যমান ব্যবসা সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে নতুন ব্যবসার দিকে পা বাড়াতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি। বড় ছেলে আকাশ আম্বানিকে টেলিকম ক্ষেত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন। খুচরো ব্যবসার দায়িত্ব পেয়েছন মেয়ে ইশা। পাশাপাশি, ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির হাতে তুলে দিয়েছেন তেল পরিশোধন ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব। মুকেশ আম্বানি নিজে সবুজ শক্তির দিকে পা বাড়াতে চান।
বিশ্বে শক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে পরিবর্তন আসছে। বিশ্ব জুড়ে ইতিমধ্যেই জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প খোঁজার উপর কাজ করা শুরু হয়েছে। বহু দেশ এমনকী ভারতেও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌরশক্তি, জলশক্তি ও পরমাণু শক্তি উৎপাদনের উপর কাজ করছে দেশের সরকারগুলি। এর মধ্যেই মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেছেন যে গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চলেছে তাঁর সংস্থা।
আগামী ১৫ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আম্বানির। ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নেট-জিরো সংস্থা হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে রিলায়্যান্সের। এ ক্ষেত্রে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানির সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় নেমেছেন মুকেশ আম্বানি। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবসার ক্ষেত্রে ৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন আদানি। সূত্রের খবর, টেলিকম ক্ষেত্রের মতোই সবুজ শক্তির ক্ষেত্রেও বিপ্লব আনতে চান তিনি।
সম্প্রতি রিলায়্যান্সের বার্ষিক সভায় মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেন, সবুজ শক্তিতে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়াবে তাঁর সংস্থা। ইতিমধ্যেই গুজরাতের জামনগরে ধীরুভাই আম্বানি গ্রিন এনার্জি কমপ্লেক্সে কারখানা নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রে বড় মার্কেট শেয়ার ধরার পরিকল্পনা রয়েছে রিলায়্যান্সের। শক্তির অন্যতম বিকল্প হিসেবে গ্রীন হাইড্রোজেনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, গ্রীন এনার্জি উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে ভারত। গ্রীন হাইড্রোজেন মিশনের আওতায় বছরে ৫০ লক্ষ টন গ্রীন হাইড্রোজেন উৎপাদন করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের জন্য মোট ১৭ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে।