বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধীরুভাই আম্বানির দুই ছেলে মুকেশ ও অনিল। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি ভারতের প্রসিদ্ধ একজন ব্যবসায়ী ও ধন কুবের। তার ভাই অনিল আম্বানি বর্তমানে খুবই দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। ধীরুভাই আম্বানির প্রয়াণের পর রিলায়েন্স গোষ্ঠী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে মুকেশ রিলায়েন্সকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু অনিল আম্বানি (Anil Ambani) বর্তমানে প্রতিযোগিতা থেকে বহু অংশে পিছিয়ে পড়েছেন। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) হাত ধরে রিলায়েন্স গোষ্ঠী গত ১৫ বছরে পৌঁছেছে সাফল্যের শিখরে। অন্যদিকে যত দিন গিয়েছে ততই অনিল আম্বানি একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অনিল আম্বানির হাতে থাকা রিলায়েন্সের সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণ লোকসান করতে শুরু করে। বর্তমানে এই সংস্থা ঋণে জর্জরিত।
ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর মুকেশ ও অনিলের মা দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে দেন। মুকেশ আম্বানির হাতে আসে রিলায়েন্সের পেট্রো কেমিক্যাল ব্যবসা। অপরদিকে টেলিকম, ফাইন্যান্স ও এনার্জির মতো সংস্থাগুলি অনিলের হাতে আসে। সেই সময় চুক্তি হয় ২০১০ সাল পর্যন্ত এই দুই ভাই একে অপরের সেক্টরের ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রথমদিকে অনিলের ব্যবসা ভালো চললেও ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দায় তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনিলের ক্ষতি হয় ৩১ বিলিয়ন ডলার। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ২০১০ সালের পর মুকেশ আম্বানি টেলিকম ব্যবসায় পা রাখেন। ফোরজি টেকনোলজিকে হাতিয়ার করে রিলায়েন্স জিওর প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর মুকেশ আম্বানির জীবনে শুধু লাভ আর লাভ। ধীরে ধীরে অনিল আম্বানি ডুবতে থাকেন।
অনিল আম্বানির হাতে থাকা রিলায়েন্স টেলিকম ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। একটা সময় ভারতের টেলিকম বাজারে অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল রিলায়েন্স। কিন্তু সেই রিলায়েন্স টেলিকম বাজার হারাতে শুরু করে। এরপর বিভিন্ন ঋণে জর্জরিত হয়ে যান অনিল আম্বানি। মার খেতে থাকে তার টেলিকম, ফাইন্যান্স ব্যবসা। এরপর অনিল আম্বানি প্রতিযোগিতা থেকে শুধু পিছিয়ে পড়াই নয়, প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান।