বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা Relaince Jio-র সাথে Disney Plus Hotster-এর সংযুক্তিকরণের বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে এই সংস্থার ডিজিটাল পরিষেবা আরও শক্তিশালী এবং উন্নত হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে Jio Telecom এবং Hotster-এর সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টি জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে “JioHotstar”-এর ডোমেনের যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও, এবার Jio ও Hotstar-এর নামে ডোমেন কিনে গভীর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন দিল্লির এক যুবক।
মামলা করল আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা:
শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে Reliance। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের প্রথম সারির এই শিল্পগোষ্ঠী ওই ডোমেনের ট্রেডমার্ক ও মালিকানা নিয়ে মামলা করেছে। তবে, এই মামলার বিষয়ে ওই সংস্থার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানিয়ে রাখি যে, দিল্লির ওই যুবক যে ডোমেনটি কিনেছেন সেটির নাম হল “JioHotsar”। এদিকে, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পেশায় প্রযুক্তিবিদ ওই যুবক জানিয়েছেন তিনি Jio এবং Hotstar-এর সংযুক্তিকরণের বিষয়টি আন্দাজ করেই ওই ডোমেন কিনে নেন। ওই যুবকের নাম এখনও সামনে না এলেও তিনি দাবি করেছেন যে এই প্রসঙ্গে Reliance কমার্শিয়ালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অম্বুজ যাদবের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থা যোগাযোগ করে। এমনকি, আম্বানির ওই সংস্থা যুবকটির কাছ থেকে এগ্জিকিউটিভ টিউশন ফি বাবদ মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) সংস্থা তাঁর কাছে ৯৩ হাজার ৩৪৫ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি) চেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আর নেই উপায়! চিনের কাছে গাধা বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করল পাকিস্তান
এদিকে, এই টাকা দিতে অস্বীকার করার পরেই যুবকের বিরুদ্ধে Reliance মামলা রুজু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করে এই আইনি লড়াইতে নিজের অসহায়তার কথা উপস্থাপিত করেছেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: “সীমান্তে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত শান্তি”, ৫ বছর পর জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মোদী
এই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ‘‘Reliance-এর মতো বড় সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার ক্ষমতা আমার নেই। ২০২৩ সালে এই ডোমেন কেনার সময়ে আমি ট্রেডমার্ক ভেঙে বেআইনি কিছু করেছি বলে মনে হয় না। এর কারণ হল, ওই সময়ে ‘JioHotstar’-এর কোনও অস্তিত্ব ছিল না।” যদিও, এখন যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে সামগ্রিকভাবে তিনি এই ডোমেনের অ্যাক্সেস হারানোর আশঙ্কা করছেন বলেও জানা গিয়েছে।