বাংলাহান্ট ডেস্ক: আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন গোটা দেশে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে বাকি সবই। নেহাত দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারন করা হচ্ছে সকলকেই। এদিকে লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে সিনেমা, সিরিয়ালের শুটিংও। নতুন এপিসোডের বেশি ব্যাঙ্কিং না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে চলতি ধারাবাহিকগুলোও। তাই সেগুলোরই পুরোনো পর্বগুলি আবার দেখানো হচ্ছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
কিন্তু তাও বা কতক্ষণ ভাল লাগে! তাই ছোটপর্দায় আবার একবার ফিরেছে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলি। এই তালিকায় রয়েছে শক্তিমান, রামায়ন, মহাভারতের মতো কালজয়ী ধারাবাহিকও। এর ফলে একদিকে যেমন গৃহবন্দি মানুষের সময় কাটছে তেমনই যারা এই ধারাবাহিকগুলি দেখতে পারেনি তারা এই সুযোগে দেখে নিচ্ছে। আর এই প্রসঙ্গকে ঘিরেই হঠাৎ এক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেতা মুকেশ খান্না ও অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহাকে ঘিরেই এই বিতর্কের সূত্রপাত।
বি আর চোপড়ার মহাভারত ধারাবাহিকে ভীষ্মের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মুকেশ খান্না। সম্প্রতি মহাভারত ফের ছোটপর্দায় ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ধারাবাহিকগুলি আবার ফেরায় যারা আগে দেখতে পাননি তারা এবার দেখার সুযোগ পাবেন। সোনাক্ষী সিনহার মতো মানুষ যারা মহাকাব্যের ব্যাপারে কিছুই জানে না তাদের সুবিধা হবে। ওনার মতো মানুষরা জানেন না হনুমান কার জন্য সঞ্জীবনী এনেছিলেন।”
মুকেশের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নীতিশ ভরদ্বাজও তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। মহাভারতে কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরিবর্তে তাঁকে একহাত নিয়ে মুকেশ বলেন, “আমি সোনাক্ষীকে একেবারেই কটাক্ষ করিনি। আমি ওনাকে চিনিই না। শত্রুঘ্ন সিনহার সঙৃগে আমার ভাল পরিচয় আছে এবং আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি। সোনাক্ষীর মাধ্যমে আমি তরুণ প্রজন্মের কথা বলছিরাম যারা মহাকাবরের ব্যাপারে কিছুই জানে না। আপনার মতো মানুষরা সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য কিছু বলবে না কিন্তু আমি স্পষ্টবক্তা।” প্রসঙ্গত, কউন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানে রামায়ন সম্পর্কিত একটি প্রশ্নে হোঁচট খেয়েছিলেন সোনাক্ষী। সেই নিয়েই এই প্রসঙ্গ তোলেন মুকেশ। তবে এই প্রসঙ্গে সোনাক্ষী বা শত্রুঘ্ন সিনহা কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।