বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইস্তফা দিলেন মুক্তার আব্বাস নাকভি। জানা যাচ্ছে, আগামী কাল তাঁর রাজ্যসভার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আজ ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পরই তিনি ইস্তফা দিলেন। আজ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর কাজের যথেষ্ট প্রশংসা করেন। তাহলে হঠাৎ করে এই ইস্তফা কেন? অনেকেই অনুমান করছেন ভেঙ্কাইয়া নাইডুর পর উপরাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসাবে মুক্তার আব্বাস নাকভির নাম মনোনয়ন করতে পারে এনডিএ শিবির।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাকভি ছাড়া আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই তালিকায় আছেন। তিনিও রাজ্যসভার সাংসদ। রাজ্যসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির মুক্তার আব্বাস নকভি এবং জেডিইউ-এর আরসিপি সিং এবার রাজ্যসভার টিকিট পাননি। আরসিপি সিং-এর সময়কাল শেষ হচ্ছে আগামীকালই। কিন্তু তাঁরও সময়কাল বাড়ানো হয় নি। তাই তিনিও আজই ইস্তফা দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপি সাম্প্রদায়িক। যখনই এই অভিযোগ উঠে আসতো তখনই এগিয়ে আসতেন মুক্তার আব্বাস নাকভি। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০১৬ সালি তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার সাংসদ হন। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রথমবার সাংসদ হন নাকভি। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রীসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৬ মে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রী সভার সদস্য হন। পরে ২০১৬ সালে নাজমা হেপতুল্লা ইস্তফা দিলে নাকভি পূর্ণ সময়ের মন্ত্রীত্ব পান। ৩০ মে ২০১৯ সালে তিনি মোদির ক্যাবিনেটেরও সদস্য হন।
সূত্রের খবর, জুলাই পর্যন্ত তাদের দুজনকেই মন্ত্রী হিসেবে রাখার বিবেচনা করেছিল সরকার। এতে আসন্ন রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অংকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি জেডি(ইউ) আরসিপি সিংকে মন্ত্রী হিসাবে রাখতে না চায়, তবে বিজেপিও তাঁকে মন্ত্রী পদে বহাল রাখবে না। সেই সঙ্গে আরসিপি সিং কী পদক্ষেপ নেন, তা আগামী দিনেই বোঝা যাবে।