বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর খানেক আগে পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবিরে ফিরে আসেন ‘ঘরের ছেলে’ মুকুল রায় (Mukul Roy)। তবে ঘাসফুল-এ যাওয়ার আগে নাকি তিনি বিজেপি (BJP) অফিসে ‘ভুল করে’ ফেলে যান এক ‘আমোঘ অস্ত্র’। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুকুল রায়ের কাছে একটি নাকি একটি বই থাকত। সেই বইয়ে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সম্পত্তির হিসাব লেখা রয়েছে। সেই ‘গুপ্তধন’ই এখন গরু খোঁজা খুঁজছে পদ্ম শিবির।
কিছু দিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছয় আত্মীয়র সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে। সেই মামলার উপর ভিত্তি করে নোটিশও জারি করেছে হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে মুকুলের সেই বইয়ের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে বিজেপির অফিসে।
দাবি করা হচ্ছে, মুকুল রায়ের বইতে নাকি মমতার পরিবারের ১২০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খতিয়ান ছিল। এর আগে ২০১৭ সালে মুকুল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একাধিকবার বিশ্ব বাংলার লোগো, তার মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি তুলেছিলেন মুকুল। সেই সময় নাকি অমিত শাহ এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে মমতার পরিবারের সম্পত্তির খতিয়ানের সেই বই দেখিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে তখন বঙ্গ বিজেপির কাউকেই সেই বই দেখানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছয় আত্মীয়র সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর হয়ে মামলাটি লড়ছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। অভিযোগ, ২০১৩ সালের পর থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা-সহ মমতার পরিবারের বাকি সদস্যদের উত্থান এবং সম্পত্তি বৃদ্ধি শুরু হয়।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই মমতার ছয় আত্মীয়র থেকে হলফনামা চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই জমা দিতে হবে এই হলফনামা৷ এমনই নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে মামলা হয়, তাঁরা হলেন – অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, মুকুল রায় সেই বই বিজেপি অফিসে কিভাবে ফেলে এলেন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।