বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৯ সালে সরস্বতী পুজোর আগের রাতে খুন হন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। নিজের বাড়ির অতি কাছেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হয় তাঁকে। এই খুনের মামলায় একাধিক বিজেপি নেতৃত্বর সঙ্গেই নাম জড়ায় তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও। এবার সেই মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায়, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার-র। হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছে খুন হন সত্যজিৎ। এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। প্রমাণাভাবে নিষ্কৃতি পান দু’জন। অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম আসে জগন্নাথ এবং মুকুলের।
অভিযুক্ত হওয়ার সময় মুকুল রায় অবশ্য দাবি করেছিলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই মামলায় তাঁর নাম জুড়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এর আগে একাধিকবার তাঁকে ভবানিভবনে ডেকেও পাঠানো হয়। এবার এদিন মিলল জামিন। শুক্রবার সল্টলেকের এমপি এমএলএ কোর্টে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন তিনি।
এই মামলা প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা দাবি তুলেছিল যে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় প্রথম থেকেই মামলায় বিশেষভাবে পিঠ বাঁচিয়ে নিয়েছেন মুকুল রায়। প্রথম চার্জশিটে নাম না থাকা, অগ্রীম জামিন ইত্যাদি সব কিছু নিয়েই আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। এদিনও তার অন্যথা হয়নি।
এদিন মুকুল রায়ের জামিনের পর এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলে নাম লেখালেই হাত খুন মাফ। দেখেননি মানস ভুঁইয়ার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল! জোড়া খুনের মামলায় নাম ছিল তাঁর। যেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন, ওমনি সব পাপ ধুয়ে গেল। রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে গেলেন তিনি। এখন তিনি রাজ্যের মন্ত্রী।’