বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বিকেলে স্লটলেকে নিজের বাড়িতে প্রায় একঘণ্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাথে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)। এই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই, যদিও মুকুল রায় বলেছেন এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ মাত্র। তবে সাংবাদিকদের সামনে মুকুল রায় আজ বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) রাজ্যে ৫০ টিও আসন পাবে না।
জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর একটি ট্যুইট করে দাবি করেছিলেন যে বিজেপি রাজ্যের দুই সংখ্যার গণ্ডিও পার করতে পারবে না। আর সেটা করলে তিনি নিজের কাজ ছেড়ে দেবেন। ওনার এই দাবির পর তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল আরও এককাঠি উপরে উঠে বলেন, প্রশান্ত একটু বেশিই বলে ফেলেছে বিজেপি রাজ্যে ৪০ টি আসনও পাবেনা।
ভোটের আগে দুই দলের মধ্যে কে কত আসন পাবে সেই নিয়ে চলছে তরজা। আরেকদিকে সিপিএমও দাবি করেছে যে তারা রাজ্যে সরকার গড়বে। কিন্তু এদের সবার মধ্যে মুকুল রায়ের মন্তব্যকে খু গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের রাজনীতিতে প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের পর যদি রাজ্যের ভোটের পরিসংখ্যান আর অঙ্ক বোঝা কেউ থেকে থাকেন, তাহলে সেটা হলেন মুকুল রায়।
আরেকদিকে, আজ তৃণমূলের কাঁথির সভা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আর জেপি নাড্ডাকে হনুমান এবং দিলীপ ঘোষকে মত্ত ষাঁড়ের সাথে তুলনা করা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সম্পর্কে মুকুল বাবু বলেন, ‘এটা নতুন কিছু না ওনার মুখ আগাগোড়াই খারাপ। উনি মমতাকে নিয়ে কম বাজে মন্তব্য করেন নি। ৯৮ সালে আমি মমতাদির পাশে বসে আছি, তখন টিভিতে দেখি উনি মমতাদির পরিবারকে নিয়ে একের পর এক বাজে কথা বলছেন। কথাগুলো এতটাই বাজে ছিল যে, আমি সেটা মুখেও আনতে পারব না। আর এর ঠিক তিনবছর পর তিনিই আবার মমতাদির স্মরণে যান। এরাই আবার শুভেন্দুকে মীরজাফর বলছে!। ওনাকে নিয়ে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, মানুষটা দিনদিন নীচু মনোভাবের হয়ে যাচ্ছে।”