বাংলা হান্ট ডেস্ক : সারদার রেশ অব্যাহত তার মাঝেই নারদ কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতারি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। মির্জার গ্রেফতারির পর থেকে রাতের ঘুম ওড়ার অবস্থা নারদ স্টিং অপারেশনে ভিডিও ফুটেজে দেখা পাওয়া ব্যক্তিদের। আর তাদের মধ্যে প্রথমেই নাম এসেছে মুকুল রায়ের। একসময় মুকুলের সঙ্গে মির্জার দারুণ ভাব ছিল। যদিও মুকুল সাংবাদিক বৈঠকে টাকা নিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছিলেন মুকুল। অথছ মুকুলের সঙ্গে মির্জার যোগাযোগ নিয়ে একসময় কম জল্পনা হয় নি। তাই মির্জার গ্রেফতারির পর সাফাই মুলক বক্তব্য দিলেন মুকুল রায়।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে মুকুল বলেন ”আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। নিজের ইচ্ছায় তদন্ত করছে না। তদন্তের সাপেক্ষে যেটা প্রয়োজন করবে সেটাই করবে।” একইসঙ্গে সাংবাদিকের তাঁর নাম জড়িয়ে থাকা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুকুল বলেন তাঁকে নাকি কোনো টিভি চ্যানেলই টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে এমন খবর প্রকাশ করেনি। কারণ, তিনি টাকা নেননি। তাই নারদ কাণ্ডের প্রতিটি ছবিতে তাঁর চিহ্ন নেই বলে দাবি করেছেন মুকুল।
এরপর নিজের কার্যত পিঠ বাঁচাতে ম্যাথুর হয়েও খানিকটা সাফাই গাইতে দেখা গেল মুকুলকে। ম্যাথুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রশ্ন উঠতেই মুকুল রায় জানান তাঁরা ব্যবসার জন্য এসেছিলেন তাই মির্জার সঙ্গে ম্যাথুকে তিনি সাক্ষাতকরতে বলেছিলেন। কিন্তু কখনই টাকার কথা তোলেননি বলে দাবি করেন মুকুল। তবে ব্যবসার জন্য পুলিশ সুপার কেন, ব্যবসায়ীদের কাছে কেন পাঠালেন না, এই প্রশ্নের জবাবে সোজাসাপটা উত্তর দিয়ে দেন মুকুল, বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নাকি পুলিশদের সাহায্য লাগে।।
এখানেই থেমে থাকেননি। সারদার প্রসঙ্গ তুলে নারদা ও সরদা দুই কাণ্ডের জন্যই শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। দুটি মামলার জন্য গরীব মানুষরাপ্রতারিত হয়েছেন এবং দুটোই আইনি ভাবে অপরাধ তাই অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি, জানিয়েছেন মুকুল।
উল্লেখ্য, মোটা আট বার জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার মির্জাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর আগে সাতবার তলব করা হয়েছিল। প্রত্যেক বারই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তরে অসংগতি পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন নিজাম প্যালেসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে ফেরও অসংগতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।