বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (bjp) ছেড়ে তৃণমূলের (tmc) বাগানে গেলেও, মুকুলের শিকড় এখনও রয়েছে পদ্ম শিবিরেই। দলত্যাগ কিংবা আসন বদলের আবেদন- কোনকিছুই করেননি মুকুল রায় (mukul roy)। পুরনো ঘরে ফিরে গেলেও, এখনও খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়কই রয়েছেন তিনি। তাই বিধানসভায় তাঁর জন্য বরাদ্দ হল বিরোধী দলের আসনই।
বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যানপদ পাওয়ার রীতি রয়েছে বিরোধী নেতৃত্বের। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে বর্তমানে বিজেপির ইচ্ছা ও সমর্থন ছাড়াই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য হয়েছেন মুকুল রায়। এমনকি পিএসি চেয়ারম্যান পদও পেতে পারেন তিনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, বিধানসভায় ওই পদ পাওয়ার জন্য শাসক পক্ষ নয়, বিরোধীপক্ষের বেঞ্চেই বসবেন মুকুল রায়। আবার মনে করা হচ্ছে, দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতেই এমন কৌশল করেছেন মুকুল রায়।
যদিও দেখা যায়, দল ছাড়ার ক্ষেত্রে বিধায়কেরা আসন বদলের ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি দেন। তাঁদের ইচ্ছেমত আসনও বদল করে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে সেরকম কোন চিঠি পাঠানো হয়নি। খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক থাকলেও, কিছুদিন আগেই সপুত্র গিয়ে নাম লিখিয়েছেন সবুজ শিবিরে। সেই কারণে ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
তবে বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুল রায়কে নিয়ে কাটাছেঁড়া চলতে থাকলেও, বিধানসভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ধরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। পূর্বেও বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্যপদ বজায় রেখে, তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভার মেয়র পদও সামলেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বহুবার তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন উঠলেও, এইভাবেই তিনি পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করে ফেলেন।