ঘরে ফিরেও ঠাঁই হল না মুকুলের, যেতে হচ্ছে সরকারের বিরোধী পক্ষেই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এলেও, মুকুল রায়কে (mukul roy) নিয়ে জল্পনা থামার কোন নাম নিচ্ছে না। একের পর একটা সমস্যা লেগেই রয়েছে মুকুল রায়কে ঘিরে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী বেঞ্চের ৬৫ নম্বর আসনই বরাদ্দ থাকছে মুকুল রায়ের জন্য। তৃণমূলে ফিরে গিয়েও, থাকছে হচ্ছে তাঁকে পদ্ম শিবিরেই।

আজ থেকে সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দুপুর ২ টোর সময় রাজ্যপাল ভাষণ দিয়ে অধিবেশনের সূচনা করবেন। ভাষণ শেষে ধন্যবাদজ্ঞাপন বার্তার পর নির্বাচিত হবে ডেপুটি স্পিকার। ডেপুটি স্পিকার পদে বিজেপি বিরোধীতা না করায়, এই পদে বসবেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিধানসভার সচেতক মনোজ টিগ্গা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত আগে থাকতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে তৃণমূলের কাছে এই রাস্তা আরও সহজ হয়ে যায়।

bbcdbckcbsd

বর্তমানে করোনা আবহ থাকার কারণে বিধানসভায় আসন বিন্যাস সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করা হয়েছে। বিধানসভা সূত্রের খবর, বিধায়করা বসবেন গভর্নর্সগ্যালারিতে। থাকছে না দর্শক। সেই আসনেও বসবেন বিধায়করা। এমনকি সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত থাকা স্থানেও বিধায়করা বসবেন বলেই জানা গিয়েছে।

তবে এসবের মধ্যে সবথেকে আকর্ষিত বিষয় হচ্ছে, বিধানসভায় মুকুল রায়ের বসার স্থান। বর্তমান সময়ে সপুত্র তৃণমূলে ফিরে গেলেও, এখনও বিজেপির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেননি মুকুল রায়। বিজেপি বিধায়ক পদে এখনও বহাল আছেন তিনি।

অন্যদিকে আবার বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যানপদ পাওয়ার রীতি রয়েছে বিরোধী নেতৃত্বের। কিন্তু বিজেপির ইচ্ছা ও সমর্থন ছাড়াই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য হয়েছেন মুকুল রায়। এমনকি পিএসি চেয়ারম্যান পদও পেতে পারেন তিনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতে এবং বিধানসভায় ওই পদ পাওয়ার জন্য শাসক পক্ষ নয়, বিরোধীপক্ষের বেঞ্চেই বসবেন মুকুল রায়।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর