বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এইমুহূর্তে বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। একমাস ব্যাপী টুর্নামেন্ট প্রায় পৌঁছে গিয়েছে নিজের অন্তিম লগ্নে। এখন অপেক্ষা ফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারি ম্যাচের। এর মধ্যেই বাঙ্গালী ফুটবলপ্রেমীরা চোখ রেখেছেন এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলের ম্যাচগুলোতে। কিন্তু বিশ্বকাপের শেষ সপ্তাহে এসে নিজেদের সমর্থকদের হতাশ করেছে দুটি ক্লাবই।
গতকাল ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় হাতছাড়া করেছিল এটিকে মোহনবাগান। নিন্দুকরা অবশ্য এমনও বলতে পারেন যে গোলকিপারের দক্ষতায় কোনোক্রমে হার বাঁচিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। কিন্তু আজ আরও খারাপ অবস্থা হল ইস্টবেঙ্গলের। ঘরের মাঠে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ০-৩ ফলে হারের মুখ দেখলো স্টিফেন কনস্ট্যানস্টাইনের দল।
আইএসএলের শীর্ষস্থানে থাকা মুম্বাই সিটি এফসি বিরুদ্ধে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে তেমন কোনও প্রত্যাশা ছিল না সমর্থকদের। তবুও ডুরান্ডে শেষ সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গলের ৪-৩ ফলে জয় কিছুটা আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল একাংশের সমর্থকদের মনে। কিন্তু আইএসএলের চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। সেই মতোই আপুইয়ার জোড়া গোল এবং গ্রেগ স্টুয়ার্টের গোলে বড় জয় পেয়েছে মুম্বাই। বিক্রম প্রতাপ সিং যদি পেনাল্টি মিস না করতেন তাহলে লজ্জা আরও বাড়তে পারতো লাল হলুদ শিবিরের।
প্রথমার্ধে মাত্র এক গোল হজম করতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে। গোল খাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সৌভিক চক্রবর্তী, অনিকেত যাদব এমনকি এলিয়ান্দ্রোকেও মাঠে এনেছিলেন স্টিফেন। কিন্তু তারা ম্যাচের ওপর প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের ছন্নছাড়া ফুটবল দেখে আবারো একবার হতাশায় সঙ্গী হয়েছে লাল হলুদ সমর্থকদের।
আজ ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বলার মতো মুহূর্ত একটাই ছিল, সেটা হল অ্যালেক্স লিমার শট পোস্টে লেগে ফেরা। আজকের ম্যাচে হারার পর পয়েন্টস টেবিলে ৮ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদের থেকে ২ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে মুম্বাই। জানুয়ারি ট্রান্সফর বন্ধুদের যে দলে অনেক পরিবর্তন লাগবে সেটা প্রতিটা ম্যাচেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।