বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ব্যাট হাতে কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। কিন্তু তাও তিলক ভার্মা, ক্যামেরন গ্রিন, সূর্যকুমার যাদবরা চেষ্টা করেছিলেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝামাঝি সময় অবধি মনে হচ্ছিল যে মুম্বাই ভালো মতোই ম্যাচে রয়েছে। কিন্তু ইনিংসের প্রথম দিকে মহম্মদ শামি এবং শেষদিকে জশুয়া লিটল, রশিদ খান ও মোহিত শর্মার অসাধারণ বোলিংয়ে ভর করে বেশ বড় ব্যবধানেই জয় পেয়ে ফাইনালে আরো একবার চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে পৌঁছে গেল গুজরাট টাইটান্স। গিলের ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে সেরা পারফরম্যান্স করলেন মোহিত শর্মা (৫/১০)।
দ্বিতীয় ইনিংসে চোখে চোট পাওয়ার কারণে ব্যাট করতে নামতে পারেননি ঈশান কিষান। নেহাল ওয়াদেরা ও রোহিত শর্মা ওপেনিং করতে নেমেছিলেন কিন্তু দুজনেই ব্যর্থ হন। ক্যামেরন গ্রিন মাঝে হার্দিকের ডেলিভারিতে হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু শামির এক ওভারে ২৬ রান নিয়ে তিলক ভার্মা পৌঁছে দিচ্ছিলেন যে ২৩৩ রান তারা করতে হলেও তারা লড়াই করতে প্রস্তুত।
লড়াইটা তারা করলেন ঠিকই, কিন্তু তিলক ভার্মা এবং টিম ডেভিডকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে তাদেরকে মারাত্মক ঝটকা দিয়েছিলেন রশিদ খান যেখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে ১৫ তম ওভারে বোলিং করতে এসেই যখন ফিরিয়ে দেন মোহিত শর্মা তখন সকলেই বুঝে গিয়েছিলেন যে ম্যাচের ফলাফল কি হতে চলেছে।
শেষপর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতেই ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস এর পর প্রথম দল হিসেবে পরপর দুইবার আইপিএল এর ফাইনালে পৌঁছানোর কীর্তি গড়লো হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স। ফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে থাকবেন তাড়া।
আজ শুভমান যে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করে শতরান করেছেন তা আইপিএলে তার তিনটি শতরানের মধ্যে সেরা এমনটা বলাই যায়। আজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসিসকে তোকে অরেঞ্জ ক্যাপ নিজের নামে করে নিয়েছেন তিনি। যদি তিনি ফাইনালেও এমন বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেন তাহলে বিরাট কোহলির এক মরশুমে ৯৭৩ রানের রেকর্ড কেও ভেঙে দিতে পারবেন তিনি।