বাংলাহান্ট ডেস্ক : সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) উপরে হামলার ঘটনার পর থেকে এখনো তটস্থ হয়ে রয়েছে মুম্বই। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে বলিউড অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কোপানোর ঘটনায় শিউড়ে উঠেছেন সকলে। তদন্তে নেমেই শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। এবার এই ঘটনার তদন্তে কলকাতায় এল মুম্বই পুলিশের চার আধিকারিক।
সইফের হামলা তদন্তে কলকাতায় মুম্বই পুলিশ
সইফের (Saif Ali Khan) উপরে হামলার ঘটনায় আগেই বাংলার যোগ উঠে এসেছিল। ধৃত শরিফুল বাংলাদেশি বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জেরায় জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত। প্রাথমিক ভাবে খবর, অভিযুক্ত শরিফুল কোথা থেকে কীভাবে সিম কার্ড কিনেছিলেন সেই খোঁজেই কলকাতায় এসেছেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা।
কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ: সূত্র মারফত খবর, শিলিগুড়ি থেকে সিমটি কিনেছিলেন শরিফুল। কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে শিলিগুড়ি এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন বলে খবর। শিলিগুড়িতেও যেতে পারেন মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী দল।
আরো পড়ুন : শুরু হয়ে গেল আসল খেলা! বাংলাদেশ থেকে মুখ ফেরালেন ট্রাম্প, বিরাট সঙ্কটে ইউনূস সরকার
কোন তদন্তে শহরে মুম্বই পুলিশ: পুলিশ সূত্রে খবর, মেঘালয় থেকে অনুপ্রবেশ করে শিলিগুড়ি আসে বাংলাদেশি শরিফুল। সেখানে বেশ কিছু দিন থেকে খুকুমণি জাহাঙ্গীর শেখের আধার কার্ডের তথ্য ভাঁড়িয়ে সিম কার্ড কেনে সে। তবে পরবর্তী তদন্তে (Saif Ali Khan) জানা যায়, ওই মহিলার নাকি আগেই মৃত্যু হয়েছে। এবার ওই সিম কার্ডের বিষয়েই আরো তথ্য পেতে শহরে এলেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা।
আরো পড়ুন : ক্ষমতায় ফিরেই শুরু অ্যাকশন! ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তেই হাহাকার বিশ্বজুড়ে
পুলিশ সূত্রে আরো খবর, সইফের (Saif Ali Khan) উপরে হামলার পরেই নাকি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল শরিফুল। তার জন্য হাওড়ার টিকিট কাটার চেষ্টাও করেছিল সে। কোন কোন এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অভিযুক্ত, তাদেরও তদন্তের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।