বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন নিজেদের গত ম্যাচে হারের পর জয় ফিরতে মরিয়া ছিল রোহিতের মুম্বাই, তেমনি অন্যদিকে গত ম্যাচের মতই আজও জয়ের ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল পাঞ্জাবও। আর তাই মঙ্গলবারে টানটান লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল দর্শকরা। এদিন শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ব্রিগেড। কার্যত শুরুটা হয়েছিল রোহিতদের মন মতই। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মনদীপ সিংহকে তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন ক্রুনাল পান্ডেয়া। আর ঠিক তার পরের ওভারেই পরপর রাহুল এবং ক্রিস গেইলকেও সাজঘরে ফেরান কিরণ পোলার্ড।
ফলত আচমকাই তিন উইকেট হারিয়ে এদিন বড় চাপে পড়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব তার ওপর আবার নিকোলাস পুরানকেও উইকেটে টিকতে দেননি বুমরাহ। ফলত মিডল অর্ডারের পুরো দায়িত্বই এসে পড়ে মাক্রাম এবং দীপক হুডার কাঁধে। বলাই বাহুল্য এদিন চাপ ভালোই সামলেছেন তারা। মাত্র ২৯ বলে ৪২ রানে কাউন্টার অ্যাটাকিং ইনিংস খেলেন মাক্রাম, সেটি না থাকলে আজ পাঞ্জাবের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। যদিও ইনিংস আরও বড় করার আগেই আজ তাকে সাজঘরে ফেরান রহুল চাহার। অন্যদিকে ২৮ রানের মাথায় দীপককেও ঘরে ফেরান বুমরাহ। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেই ইনিংস শেষ করে পাঞ্জাব। মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন বুমরাহ এবং পোলার্ড। অন্যদিকে একটি করে উইকেট নেন চাহার এবং ক্রুনাল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়েরও। মাত্র ৮ রানের মাথাতেই রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ঠিক তার পরের বলেই সূর্যকুমার যাদবকেও বোল্ড করেন তিনি। এরপর সৌরভ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইকে ম্যাচে ফেরানোর কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ডি কক। কিন্তু ২৭ রানের মাথাতে তাকেও বোল্ড করেন শামি, যদিও ডি কক আজ বল খরচ করেছিলেন অনেকটাই ২৯ বলে ২৭ রানের এই ইনিংসের দৌলতে রানের চাপ কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল মুম্বাইয়ের উপর।
https://twitter.com/mipaltan/status/1442909269947342848?s=19
সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে কার্যত ৪৫ রানের মাথায় নিজের উইকেট খোয়ান সৌরভ। ফলত ফের একবার হার্দিক পান্ডিয়া এবং কিরণ পোলার্ডের উপরেই নির্ভর হয়ে পড়েছিল দল। যদিও মাথার উপর রানরেটের চাপ ছিল অনেকটাই। কিন্তু সেই চাপ এদিন দুরন্ত ভাবে সামাল দেয় মুম্বাইয়ের এই ফিনিশার জুটি। কার্যত আজ সমস্ত সমালোচনার উপযুক্ত জবাব দিলেন হার্দিক। মাত্র ৩০ বলে চারটি চার এবং দুটি ছয় দিয়ে সাজানো ৪০ রানের ইনিংস খেলে এক ওভার বাকি থাকতেই মুম্বাইকে জয় এনে দেন তিনি। ১৫ রানের ছোট্ট ক্যামিও খেলে গুরুত্বপূর্ণ যোগদান রেখেছিলেন পোলার্ডও।